1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ব্যাঙের বিষে মরছে কুমির!

৪ জুলাই ২০১৩

সাপ ব্যাঙ মারে – এ কথা কে না জানে৷ ব্যাঙ সাপ মারে – এ কথা জানালেও বিশ্বাস হবে সবার? এক ধরণের ব্যাঙ নিয়ে খুব দুর্ভাবনায় পড়ে গেছেন বিজ্ঞানীরা৷ ব্যাঙগুলো কোনো কোনো সাপের মৃত্যুর কারণ৷ কুমিরও মরছে এদের কবলে পড়ে!

https://p.dw.com/p/191iI
Frosch Duellmanohyla uranochroa This Highland red-eyed Treefrog (scientific name Duellmanohyla uranochroa) seen here in a forest in Panama, has suffered severe population declines. Bild: Andreas Hertz, Protected Forest Palo Seco, Comarca Ngöbe-Buglé, Panama, zugeliefert von Samantha Early/DW
ছবি: Andreas Hertz

বিশ্ব বিস্ময়ময়৷ অস্ট্রেলিয়ার এই ব্যাঙগুলো বিস্ময় জাগানোরই ছোট্ট এক নমুনা৷ দেহজুড়ে শক্ত চামড়া, তার ওপর আরো শক্ত শক্ত জরুল৷ মাথায় থাকে বিষের থলি৷ ক্ষুধা নিবারণ করতে সাপ এদের যেই না খায়, অমনি বিষ ছড়িয়ে পড়ে সমস্ত দেহে৷ ব্যাঙ তো মরেই, সাপের পক্ষেও আর বেঁচে থাকা সম্ভব হয় না৷ চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণাপত্র বলছে বিষাক্ত এই ব্যাঙগুলোর কারণে নাকি এক ধরণের কুমির বিলুপ্ত হবার পথে৷ কুমিরগুলো সাধারণ কুমিরের তুলনায় বেশ ছোট৷ পুরুষ কুমির ১ দশমিক সাত মিটার বা সাড়ে পাঁচ ফুট বড় হয়৷ মেয়ে কুমির আরো ছোট, মাত্র দশমিক সাত মিটার বা দু'ফুট তিন ইঞ্চি৷ আকারে ছোট বলে এ ধরণের কুমিরকে পিগমি বা স্টান্টেড ক্রোকোডাইল নামে ডাকেন বিজ্ঞানীরা৷ দুর্লভ প্রজাতির এই কুমিরের সংখ্যা অস্ট্রেলিয়ার কিছু কিছু জায়গায় খুব দ্রুত কমছে৷

Titel: Krokodil Zuchtanlage in iran Bildbeschreibung: "Noopak" ist erste Park für Krokodil Zuchtanlage in iranische Insel "Qeshm" - Iran. Mojgan Roustaiee ist Chef im "Noopak". Schlagworte: Iran, Schnurrbart, Krokodil, Krokodil Zuchtanlage, Qeshm. Rechteeinräumung: Lizenzfrei, Fotograf hat selber diese Fotos uns geschickt un persische Reaktion hat das Recht diese Fotos zu benutzen. Quelle: Noopak
কুমিরও মরছে ব্যাঙের কবলে পড়ে (ফাইল ফটো)ছবি: Noopak

চার্লস ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা নর্দার্ন টেরিটরির ভিক্টোরিয়া এবং বুলো নদীর কুমির নিয়ে কাজ করে রীতিমতো শঙ্কিত৷ একটি এলাকায় ২০০৭ সালের শুরুর দিকে ছিল ২৮টি পিগমি কুমির৷ এক বছরের মধ্যেই কমে হয়ে যায় ১০টি৷ এর বিশেষ কোনো কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বিজ্ঞানীরা৷ তবে লক্ষ্য করেছেন, ওই বিষাক্ত ব্যাঙের ঝাঁক আসার পর থেকেই কুমির কমছে৷ ধারণা করা হচ্ছে, বিকল্প খাদ্যের অভাবে কুমিরগুলো ব্যাঙ ধরে ধরে খায়, ব্যাঙের মাথার বিষ কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের মৃত্যু ডেকে আনে৷

ব্যাঙগুলো নাকি পূর্ব-দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার দিকে এগোচ্ছে৷ গতি বেশি নয়, বছরে মাত্র ৫০ কিলোমিটার৷ ব্যাঙাতঙ্ক অবশ্য বিদ্যুৎ বেগে অনেক আগেই পৌঁছে গেছে গন্তব্যে!

এসিবি/ডিজি (এএফপি)