1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বেলারুশে বিরোধী নেত্রীকে অপহরণ, ক্ষুব্ধ জার্মানি

৮ সেপ্টেম্বর ২০২০

বেলারুশের বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোলেসনিকোভাকে অপহরণ করল মুখোশ পরা কয়েকজন লোক। তাদের পরিচয় জানা যায়নি। জার্মানি অবিলম্বে বিরোধী নেত্রীর মুক্তি দাবি করেছে।

https://p.dw.com/p/3i8Sh
ছবি: picture-alliance/AA/M. Serebryakova

বেলারুশের রাজধানী শহর মিনস্কে তখন প্রবল বিক্ষোভ চলছে। প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে। সেখানেই ছিলেন বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোলেসনিকোভা। হঠাৎ একটি গাড়িতে করে মুখোশ পরা কিছু লোক এসে তাঁকে তুলে নিয়ে চলে যায়। রাশিয়ার সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, বেলারুশের পুলিশ বলেছে, তারা বিরোধী নেত্রীকে গ্রেফতার করেনি। 

যখন মারিয়াকে অপহরণ করা হয় তখন বেলারুশের নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করছিল। মোট ৬৩৩ জনকে তারা গ্রেফতার করেছে।

বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সংগঠনের ক্ষেত্রে মারিয়া অন্যতম প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন। তিনিই প্রেসিডেন্ট পদে বিরোধী প্রার্থী শ্বেতলানা সহ অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিক্ষোভের কাজ চালিয়ে গেছেন।

জার্মানির বিদেশমন্ত্রী হাইকো মাস বেলারুশকে সাবধান করে দিয়ে বলেছেন, তারা যেন বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক আচরণ বন্ধ করে। বিরোধী নেত্রী মারিয়া কোলেসনিকোভাকে মুক্তি দেয়। মাস জানিয়েছেন, ''বেলারুশকে আগে জানাতে হবে, বিরোধী নেত্রী কোথায় আছেন? তাঁকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।''

মাস বলেছেন, ''কোলেসনিকোভা যেভাবে উধাও হয়ে গেছেন, তাতে আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমরা এটা কিছুতেই মেনে নিতে পারি না।'' বেলারুশের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছেন, ''বিরোধী নেত্রীর অপহরণে সরকার কোনোভাবেই জড়িত নয়।''

কিন্তু মাসের হুমকি, ''লুকাশেঙ্কো তাঁর পথ বদল না করলে তঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।'' ইইউ ইতিমধ্যেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে।  ইইউ-র বিদেশ বিষয়ক প্রধানও অবিলম্বে কোলেসনিকোভার মুক্তি দাবি করেছেন। যুক্তরাজ্যের বিদেশ সচিব ডমিনিক রাব বলেছেন, বেলারুশ সরকারকে তাঁর নিরাপত্তা ও ফিরে আসার ব্যাপারে সব চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। বিরোধীদের সঙ্গেও তাঁদের আলোচনা শুরু করতে হবে।

বেলারুশের বিরোধী নেতা ম্যাক্সিম ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''কোলেসনিকোভা এই ঝুঁকির কথাটা জানতেন। তিনি তার জন্য প্রস্তুতও ছিলেন। এর ফলে বিক্ষোভ থামবে না। বরং আরো প্রবল হবে।''

জিএইচ/এসজি(রয়টার্স, এএফপি)