বেচে যাওয়া খাবার বিক্রি করে তারা
৬ এপ্রিল ২০১৭‘গ্রিনগুরু' নামে একটি কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দিমিত্রিওস প্লুটার্চোস বলেন, ‘‘বর্তমানে সবাই সব কিছু তাড়াতাড়ি চায়৷ তারা একটি বোতাম চেপেই সবকিছু পেতে চায়৷ দুপুরবেলায় এই কথাটি আরও সত্য হয়ে ওঠে, কারণ সেই সময় সবাই খুব ব্যস্ত থাকে৷''
জরিপ বলছে, জার্মানির প্রতি তিনজনের দু'জন মনে করেন, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া জরুরি৷ সুপারমার্কেটে বেচাবিক্রির হিসাব থেকে এই তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়৷ কারণ ক্রমেই সেখানে মাংস বিক্রির জায়গা নিয়ে নিচ্ছে সবজি৷ প্রতি ১০০ জার্মানের একজন এখন ভেগান৷
ফাবিয়ান শ্টাইনেকার নামের একজন ভেগান বলেন, ‘‘সাম্প্রতিক সময়ে ভেগানদের সংখ্যা বেশ বেড়েছে৷ ভেগানিজমের প্রতি অনেকেই আকৃষ্ট হচ্ছেন৷ একটা সময় হয়ত সংখ্যা বৃদ্ধির হারটা কমে আসতে পারে৷ তবে ভেগানিজমের একটা টেকসই ভবিষ্যৎ আছে বলেই আমি মনে করি৷''
কিন্তু মাংস বিক্রেতারা বলছেন অন্যকথা৷ তাঁদের মতে, ভেগান আর ভেজেটেরিয়ানের সংখ্যা আসলে অনেক কম৷ আর মাংসের চাহিদা সবসময়ই থাকবে বলে মনে করেন তাঁরা৷ মাংস বিক্রেতা নোর্বার্ট ক্নপ বলেন, ‘‘আমাদের ক্রেতারা এখনও মাংস খাচ্ছেন৷ তাঁরা হয়ত একটু কম খাচ্ছেন, কিন্তু তাঁরা আসলে ভালো মানের মাংস চান৷''
‘গ্রিনগুরু' সার্ভিস সেন্টারে বেচে যাওয়া সালাদ ফেলে দেয়া হয় না৷ কারণ আছে স্টার্ট-আপ কোম্পানি ‘রেসকিউ'৷ তারা এই ধরনের বেচে যাওয়া খাবার বিক্রিতে সহায়তা করে৷ এভাবে তারা গত বছর প্রায় এক লক্ষ খাবার মিল ফেলে দেয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে৷ রেসকিউ কোম্পানির আনা বিকেনবাখ বলেন, ‘‘রেসকিউ একটা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ক্রেতারা রেস্তোরাঁ আর ক্যাফেটেরিয়া থেকে এমন সব খাবার অর্ডার করতে পারেন, যেগুলো ফেলে দেয়া হবে৷ এগুলো কম দামে কিনতে পারেন তাঁরা৷ এভাবে আমরা ইউরোপে প্রায় ৩০ হাজার কেজি খাবার নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচিয়ে থাকি৷''
ভবিষ্যতে নিজের পছন্দ অনুযায়ী খাবার অর্ডার করা যাবে৷ থ্রিডি প্রিন্টারে আপনার খাবার তৈরি হবে৷ খাবারের মান, রং আর আকার আপনি ঠিক করে দিতে পারবেন৷
মারিয়ন হ্যুটার/জেডএইচ