ঈদ নিরাপত্তা
১৯ আগস্ট ২০১২ঈদের ছুটিতে রাজধানী ছেড়ে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে যান অধিকাংশ মানুষ৷ ফলে এ সময় রাজধানী থাকে অনেকটাই ফাঁকা৷ আর এই সুযোগ নেয় অপরাধীরা৷ বাসা-বাড়িতে চুরি ডাকাতিসহ খুনের মত অপরাধও বেড়ে যায়৷ প্রতি বছর এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেয়া হলেও তা নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না৷
ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের কমিশনার বেনজির আহমেদ বলেন, ‘‘অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে এবার ঈদের নিরাপত্তার ছক তৈরি করা হয়েছে৷ ঈদের আগে, ঈদের দিন ও ঈদের পরে এই তিন ধাপে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে পুলিশ৷ পাড়া মহল্লায় মটরসাইকেল টহলের পাশাপাশি, প্রধান সড়কে চেকপোষ্ট বসিয়ে তল্লাশি করা হবে৷''
বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘‘বাসাবাড়ির পাশাপাশি ঈদে রাজধানীর শপিংমলগুলো দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার কারণে এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বড় চ্যালেঞ্জ৷ এ চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ৷''
ঈদ জামাত ঘিরে সার্বিক নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করতে পুলিশ কমিশনার শনিবার সকালে ঈদগাহে যান৷ সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলনে, ‘‘ঈদের জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ ঈদের সকালে আর্চওয়ের ভিতর দিয়ে মুসল্লিরা ঈদগাহে প্রবেশ করবেন৷ আর্চওয়ের সামনেই ঈদগাহের মূল ফটকে থাকবে অত্যাধুনিক ডিটেক্টর৷ এর মাধ্যমে জানা যাবে মাঠে কোনো ধরনের ক্ষতিকর বস্তু নিয়ে কেউ প্রবেশ করছে কি না৷''
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য রাজধানীতে ২০ লাখ লিফলেট বিতরণ করেছে পুলিশ৷ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘‘জনগণ ও পুলিশ এক সঙ্গে কাজ করলে সমস্যা সমাধান সম্ভব৷''
পুলিশের নিরাপত্তা তৎপরতার বাইরেও থাকবে ব়্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি৷ ব়্যাবের বোমা নিস্ক্রিয়করণ ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড ব্যবহার করা হয়েছে নিরাপত্তার খুঁটিনাটি দিকগুলো নিশ্চিত করতে৷ পোশাকি পুলিশ ছাড়াও সাদা পোশাকে ব়্যাব ও পুলিশের গোয়েন্দা দল মোতায়েন থাকবে ঈদগাহ এলাকায়৷ ঈদকে কেন্দ্র করে সারাদেশে পাঁচ হাজার ব়্যাব মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ব়্যাবের মহাপরিচালক মোখলেসুর রহমান৷ তিনি বলেন, ঢাকাতেই মোতায়েন হয়েছে দুই হাজার এবং ঢাকার বাইরে সারাদেশে থাকবে আরো তিন হাজার ব়্যাব৷
প্রতিবেদন: সমীর কুমার দে, ঢাকা
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম