অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার
৩ জুন ২০১৪হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী সংরক্ষিত সাতছড়ি বনাঞ্চলে র্যাবের একটি দল মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান শুরু করে৷
সেখানে বনাঞ্চলের সীমান্ত ঘেঁষা অংশে পাঁচটি বাংকারের খোঁজ পায় তাঁরা৷ এর মধ্যে একটি বাংকার থেকে দুই শতাধিক রকেট লঞ্চার, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়৷ এগুলো বাংকারের ভেতরে ৫০ থেকে ১০০ ফুট গভীরে ছিল৷
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘অভিযানে দু'শরও বেশি ছোট রকেট লঞ্চার ছাড়াও উডেন গ্রেনেড ও বিস্ফোরকসহ বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে৷ এগুলোর গণনা শেষ করতে সময় লাগবে৷ গত দু'দিন ধরে অভিযান চালানোর পর এই অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়৷ অভিযান অব্যাহত আছে৷'' তবে কাউকে আটক বা গ্রেফতারের খবর তিনি দেননি৷ এছাড়া কে বা কারা কী উদ্দেশ্যে এসব অস্ত্রের মজুদ করেছিল তা জানা যায়নি৷
ব়্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইং এর পরিচালক উইং কমান্ডার হাবিবুর রহমান জানান, ‘‘স্থানীয়ভাবে গণনা শেষ করার পর সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে৷''
জানা গেছে সীমান্ত ঘেঁষে থাকা বিপরীত পাশের বনে এক সময় এটিটিএফ এর সদর দফতর ছিল৷ এই সংগঠনের সদস্যরা সাতছড়ি এলাকায় অপহরণ এবং মুক্তিপণ আদায় করত৷ ২০১৩ সালের জুনে বাংলাদেশ এটিটিএফ এর প্রধান রঞ্জিত দেববর্মনকে ভারতের কাছে হস্তান্তর করার পর সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়ে৷
র্যাব জানায় ২০০৪ সালে চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র উদ্ধারের পর এটিই বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অস্ত্রের সবচেয়ে বড় চালান আটকের ঘটনা৷
জানা গেছে র্যাব অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এই অভিযান পরিচালনা করে৷ বিকেলে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান, অভিযানের বিষয়টি র্যাবের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়নি৷