বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব গাদ্দাফির
২৮ আগস্ট ২০১১প্রস্তাব
গাদ্দাফির প্রস্তাবের কথা জানিয়েছেন মুসা ইব্রাহিম, যিনি গাদ্দাফি সরকারের মুখপাত্র ছিলেন৷ মাত্র ক'দিন আগেই যাকে ঘনঘন টেলিভিশনে দেখা যেত৷ সেই মুসা ইব্রাহিম মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি'কে জানিয়েছেন যে, বিদ্রোহীদের পরিষদ এনটিসি'র সঙ্গে মিলে একটা মধ্যবর্তী সরকার গঠনের ব্যাপারে কথা বলতে চান গাদ্দাফি৷ এবং এই আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন তাঁর সন্তান শাদি গাদ্দাফি৷ মুসা ইব্রাহিম এপিকে বলেন গাদ্দাফি এখনো লিবিয়াতেই আছেন৷
প্রতিক্রিয়া
বিদ্রোহীরা সরাসরি বলে দিয়েছে যে, কোনো ধরনের আলোচনার আগে গাদ্দাফিকে আত্মসমর্পণ করতে হবে৷ ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেছেন, গাদ্দাফি যে প্রস্তাব এখন দিচ্ছেন, সেটা দেয়ার সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে৷
হত্যা
বিভিন্ন বার্তা সংস্থা বলছে ত্রিপোলি পতনের আগে গাদ্দাফির সৈন্যরা অনেককে হত্যা করেছে৷ মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলছে ত্রিপোলির পতন হচ্ছে ধরে নিয়ে গাদ্দাফির সেনারা তাদের হাতে বন্দি থাকা অনেককে সহ সাধারণ মানুষকেও গণহারে হত্যা করেছে৷ যেমন গাদ্দাফি যে প্রাসাদে থাকতেন তার পাশে থাকা নদীর পাড়ে ১৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে যাদের দুজনের আবার দুই হাত পেছনে বাঁধা ছিল৷ এছাড়া পাশের অস্থায়ীভাবে নির্মিত একটি ক্লিনিকে ২৯ জনের লাশ পাওয়া গেছে৷ এদিকে ত্রিপোলির দক্ষিণে একটি পুড়ে যাওয়া ওয়্যারহাউসে ৫০ টিরও বেশি মৃতদেহ পাওয়া গেছে৷
সির্ত'এর নিয়ন্ত্রণ
সির্ত এর নিয়ন্ত্রণ পাওয়াটা বিদ্রোহীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, শহরটির অবস্থান লিবিয়ার পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে৷ অর্থাৎ পুরো লিবিয়াকে এক করতে হলে মাঝের এই শহরটির নিয়ন্ত্রণ পেতেই হবে৷ এই লক্ষ্যে এখন সির্ত এর গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছে বিদ্রোহীরা৷ কারণ তারা শান্তিপূর্ণভাবে শহরটির নিয়ন্ত্রণ পেতে চায়৷ বিদ্রোহীরা বলছে যদি আলোচনায় কোনো ফল না আসে তাহলে সামরিক উপায়ে শহরের দখল নেয়া হবে৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম