বিদায় ওবামা
২১ নভেম্বর ২০১৬আগামী মাসেই হোয়াইট হাউস ত্যাগ করবেন৷ তার আগে তিনি বিশ্বনেতাদের কাছ থেকে বিদায় নেয়ায় ব্যস্ত৷ ইউরোপ সফরের পর পেরুর রাজধানী লিমায় এশীয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির অ্যাপেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন৷ কিন্তু নিজের বিদায়বাণীর তুলনায় তাঁকে অনেক বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়েছে বিশ্বনেতাদের আশ্বস্ত করতে৷
উত্তরসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বহির্বিশ্বের প্রতি কেমন আচরণ করবে সে বিষয়ে তাঁদের উৎকণ্ঠা দূর করার কিছুটা চেষ্টা করেছেন ওবামা৷ নির্বাচনি প্রচারের সময়ে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট পদের অযোগ্য হিসেবে তুলে ধরার পর এবার রাষ্ট্রনেতা হিসেবে সেই ট্রাম্প সম্পর্কে বিরূপ মনোভাবের বদলে তাঁর কাজের বিচার করার পরামর্শ দিতে হলো ওবামাকে৷ তিনি বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করলে এবং অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করলে অনেক বিষয় সম্পর্কে মনোভাব বদলে যেতে পারে৷
ট্রাম্প সম্পর্কে বাকি বিশ্বকে আশ্বাস দেবার চেষ্টা করলেও তাঁর উপর কিছুটা চাপও সৃষ্টি করলেন ওবামা৷ তাঁর মতে, শীর্ষ রাজনৈতিক পদের প্রতি শ্রদ্ধার খাতিরে এবং নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে কাজ গুছিয়ে নেবার সুযোগ দিয়ে পদে পদে হস্তক্ষেপ করা সমীচীন নয়৷ কিন্তু একজন মার্কিন নাগরিক হিসেবে ওবামা মূল্যবোধ ও আদর্শের খাতিরে প্রয়োজনে মুখ খুলতে পারেন, এমন ইঙ্গিতও তিনি দিয়ে রাখলেন৷
অ্যাপেক সম্মেলনে অনেক বিশ্বনেতা আবেগের সঙ্গে ওবামার কাছ থেকে বিদায় নিলেন৷ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল বলেন, শেষ সাক্ষাৎ অসাধারণ মুহূর্ত – দুঃখেরও বটে৷ ক্যানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘‘বারাকের অভাব খুবই বোধ করবো৷''
হোয়াইট হাউস থেকে বিদায় নিয়ে কী করবেন ওবামা? প্রথমেই স্ত্রী মিশেলকে নিয়ে ছুটি কাটাবেন৷ তারপর কিছুটা বিশ্রাম নেবেন, দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাবেন, লেখালেখি করবেন, কিছু বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করবেন৷ তবে এখনই রাজনীতিতে ফিরে যাবার কোনো বাসনা তাঁর নেই৷
এসবি/এসিবি (এএফপি/ডিপিএ)