গ্রেপ্তার, জামিন!
৬ জুন ২০১৩হাইকোর্টের বিচারপতির গাড়ি আটক করায় ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছেন সুপারভাইজার আসাদুজ্জামান৷ বুধবার তাঁকে সিরাজগঞ্জ আদালতে তোলা হয়৷ প্রথম দফায় তাঁর জামিন আবেদন বাতিল হলেও দ্বিতীয় দফায় জামিন পান তিনি৷ বাংলাদেশের একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, আটকাবস্থায় ‘অসুস্থ' হয়ে পড়ায় মানবিক দিক বিবেচনা করে আসাদুজ্জামানের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক৷
সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুকে এই বিষয়ে মন্তব্য করেছেন অনেকে৷ ডয়চে ভেলের সেরা বাংলা ব্লগ অ্যাওয়ার্ড জয়ী ব্লগার আরিফ জেবতিক লিখেছেন, ‘‘বিচারপতির গাড়ির টোল চাওয়ার পরে সেই বিচারপতির নির্দেশে বঙ্গবন্ধু সেতুর টোলপ্লাজার কর্মী আসাদুজ্জামানকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ৷ কালকে (বুধবার) প্রথম দফায় তার জামিন না মঞ্জুর হয়৷ কিন্তু তারপর চারপাশে আলোচনা শুরু হয়, সোশ্যাল মিডিয়ায় হাউকাউ পড়ে যায়৷ তবে আর কি, বিকেলে আবার কোর্টে আবেদন করার পর 'অসুস্থ' বিবেচনায় আসাদুজ্জামানের জামিন দেয়া হয়েছে৷ আসাদুজ্জামান মুক্তি পেয়েছেন৷''
নিয়ম মেনে টোল চাওয়ায় সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করার এই প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন টেলিভিশন উপস্থাপক অঞ্জন রায়৷ ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘বিচারপতির টোল না দেয়ায় টোল চাওয়ার কারণে আদায়কারী সুপারভাইজার গ্রেপ্তার৷ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আদালত অবমাননার৷ কী কী করলে আদালত অবমাননা হয়? সেই তালিকা প্রকাশ খুবই জরুরি৷''
এদিকে, বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী মো. খায়রুজ্জামান দৈনিক প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘‘সকল ভিআইপির টোল দিয়ে সেতু পার হওয়ার নিয়ম রয়েছে৷ কেবল রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, এসএসএফ এবং সেনাবাহিনীর যানবাহন সেতু পারাপারের সময় ক্রেডিট বইতে নাম এন্ট্রি করে নগদ টোল না দিয়েও সেতু পার হতে পারেন৷ সে ক্ষেত্রে টোল প্লাজায় রক্ষিত ফরম পূরণ করে যেতে হয়৷ পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট দপ্তর টোল পরিশোধ করে থাকে৷''
অপর ফেসবুক ব্যবহারকারী একেএম ওয়াহিদুজ্জামান ফেসবুকে এই বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন৷ তাঁর স্ট্যাটাসের একাংশ এরকম, ‘‘এর আগে আরেক বিচারপতি ট্রাফিক পুলিশের সেল্যুট না পেয়ে তাকে শাস্তি দিয়েছিলেন এবং ইকোনমি ক্লাসের টিকেট কেটে বিমানের বিজনেস ক্লাসে ভ্রমণের মামাবাড়ির আবদার পূরণ না হওয়ায় সেই বিমানের ক্যাপ্টেনকে হাইকোর্টে ডেকে এনে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন৷''