1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফেসবুকে নিরাপদ থাকার উপায়

২৮ মে ২০১৩

ফেসবুকের ভালো, সুন্দর, গুরুত্বপূর্ণ দিক যেমন রয়েছে, তেমনি বিপত্তিও কম নয়৷ মাঝেমাঝেই দেখা যায়, আপনার কোনো বন্ধু জানাচ্ছেন, অমুক নায়িকার তমুক ভিডিও দেখা যাচ্ছে এই লিংকে৷ কখনো থাকছে ওজন কমানোর টিপস৷ এসব আসলে ফাঁদ৷

https://p.dw.com/p/18fM5
ILLUSTRATION - Eine junge Frau schaut sich am Dienstag (16.11.2010) in Dresden eine Seite der Internetcommunity Facebook auf einem Laptop an. Facebook hat am Dienstag angekündigt SMS, Chatnachrichten und Emails zusammenzuführen. Auch Facebook-Mitglieder bekommen künftig eine E-Mail-Adresse, aber im Kern geht es um mehr: Das Online-Netzwerk will zu einer zentralen Kommunikationsplattform werden. Foto: Oliver Killig dpa/lsn +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেসবুককে ঘিরে আরো কয়েকটি ওয়েবসাইট রয়েছে৷ এসব সাইটের একটি হচ্ছে অলফেসবুক ডটকম৷ বলা হয়, অনানুষ্ঠানিক ফেসবুক ব্লগ এটি৷ এই সাইটে ফেসবুক সম্পর্কিত নিত্য নতুন বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করা হয়৷ ২৭ মে সাইটটি স্ক্যামবুকের নিজস্ব লেখক মিরান্ডা পেরির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷ এতে ফেসবুক স্ক্যাম বা আপদ থেকে বাঁচার বিভিন্ন উপায় জানানো হয়েছে৷ সেখান থেকে অংশবিশেষ তুলে ধরা হলো এখানে:

সোর্স সম্পর্কে নিশ্চিত হন

মাঝে মাঝেই দেখা যায় কোনো একজন ফেসবুক ব্যবহারকারীর প্রোফাইল থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন সন্দেহজনক লিংক শেয়ার হচ্ছে৷ এ ধরনের লিংকে যিনি ক্লিক করবেন, তার কম্পিউটারেও মেলওয়্যার ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং তিনিও একইভাবে তাঁর বন্ধুদের সঙ্গে নিজের অজান্তে সেই লিংক শেয়ার করতে পারেন৷

পেরি বলছেন, সামান্য একটু সতর্ক হলেই এই বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব৷ বিশেষ করে লিংকটি যিনি শেয়ার করেছেন এবং কি ধরনের লিংক শেয়ার করছেন সেদিকে একটু মনোযোগী হলেই এ ধরনের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে৷

উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, যদি দেখেন আপনার কোনো বন্ধু ‘রেহানার সেক্স টেপ' নামক কিছু শেয়ার করছে, তাহলে মোটামুটি নিশ্চিতভাবে ধরে নিতে পারেন লিংকটি ভুয়া এবং স্প্যামাররা আপনাকে বিপদে ফেলতেই এরকম লিংক ছড়াচ্ছে৷ এক্ষেত্রে সেই লিংকে ক্লিক না করে, যেই ব্যক্তির টাইমলাইন থেকে লিংকটি আসছে, তাঁকে অফলাইনে ফোন করাই ভালো৷ নিদেনপক্ষে তাকে ফেসবুকে একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে হলেও বলা যেতে পারে, আপনি যে লিংকটি শেয়ার করছেন, সেটি কি জেনেশুনে নাকি অজান্তেই?

ফেসবুক হ্যাক হওয়ার খবরও গুজব

ফেসবুকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী৷ তাই হঠাৎ করে যদি কেউ দাবি করে ফেসবুক হ্যাক হয়েছে সেটা বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই৷ তবে এটা সত্যি, ফেসবুক প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সেটিংসে পরিবর্তন আনে৷ আর এই পরিবর্তনের খবর তারা উপযুক্ত চ্যানেলের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের জানিয়েও দেয়৷ ফলে হঠাৎ করে কেউ যদি দাবি করে বসে, ফেসবুকের রং নীল থেকে লাল হয়ে যাচ্ছে কিংবা এই লিংকে ক্লিক করে ফেসবুকের রং সাদা কালো করা যায়, সেসব দাবি বিশ্বাস না করাই ভালো৷ আর বিশ্বাস করে সেসবে ক্লিক করলে দেখবেন, আপনাকে দিয়ে বিভিন্ন সার্ভে করানো হচ্ছে৷ এসব সার্ভের মাধ্যমে পয়সা আয় করে স্ক্যামাররা৷ আপনি পাবেন না কিছুই৷

ভিডিও দেখলেই ক্লিক করবেন না

অনেক স্ক্যামার লোভনীয় ভিডিও-র কথা বলে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে৷ এসব ফাঁদে ক্লিক করলে আপনাকে ‘ফ্ল্যাশ প্লেয়ার' বা ‘জাভাস্ক্রিপ্ট' ডাউনলোড করতে বলা হবে৷ একবার ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করেছেন মানে ফাঁদে পড়েছেন৷ স্ক্যামাররা এভাবে ফাঁদ বসিয়ে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি চুরি এবং একইসঙ্গে আপনার কম্পিউটারের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে৷

পেরির মতে, ফেসবুকে কোনো ভিডিও লিংক দেখলে প্রথমেই সেটির ডোমেইন নেম-এর দিকে তাকান৷ ইউটিউব ডটকম যদি ডোমেইন নেমে লেখা থাকে, তাহলে ধরে নিতে পারেন লিংকটি নিরাপদ৷ কিন্তু অন্য কিছু থাকলে এবং সেটা যদি অপরিচিত হয়, তাহলে ক্লিক না করাই ভালো৷ এসব ভিডিও লিংকের সঙ্গে অনেক সময় একই ধরনের লোভনীয় বার্তা জুড়ে দেওয়া হয়৷ অনেকটা, ‘‘ও মাই গড, তুমি কি এই ভিডিওটি দেখেছে? আমি ভাবতেই পারছি না কেউ একজন এসব ক্যামেরায় ধারণ করতে পারে!'' ধরনের বার্তা৷ এগুলো স্প্যাম৷

young woman lying on couch and spending time on laptop. Copyright: Igor Mojzes - Fotolia.com, #42672232
নিশ্চিন্তে ফেসবুক ব্যবহার করতে চাইলে সতর্ক হোনছবি: Igor Mojzes - Fotolia.com

যদি আক্রান্ত হন তাহলে কি করবেন?

অনেকের মনেই এই প্রশ্নটি আসতে পারে৷ স্ক্যাম লিংকে ক্লিক করার পর যদি টের পান, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই নীচে উল্লেখিত পন্থা অনুকরণ করুন:

  • টাইমলাইনে গিয়ে দ্রুত লিংকটি ডিলিট করুন৷
  • ফেসবুক এবং অন্যান্য ওয়েবসাইটে থাকা আপনার প্রোফাইলের পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন৷ বিশেষ করে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এবং ই-মেলের পাসওয়ার্ড দ্রুত বদলান৷
  • ফেসবুক বন্ধুদের জানান যে, আপনি ভুল করে একটি স্ক্যাম শেয়ার করেছেন৷

এসব উদ্যোগ গ্রহণ ছাড়াও নিরাপদ থাকতে মাঝে মাঝে ফেসবুকের ‘প্রাইভেসি সেটিংস' এবং ‘একটিভ সেশন' অপশন চেক করুন৷ কোনো কিছু সন্দেহজনক মনে হলে ভালোভাবে যাচাই করুন৷

এআই / ডিজি (অলফেসবুক ডটকম)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য