তারেক রহমানের প্রচেষ্টা
১১ জুলাই ২০১৪তারেক রহমান সাত বছর ধরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন৷ সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারে সময় আটক হওয়ার পর চিকিৎসার জন্য জামিনে মুক্তি নিয়ে সেখানে গিয়ে আর ফেরেননি৷ সাত বছর পর তিনি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করছেন৷
জানা গেছে, তারেক রহমান দলের প্রতিটি জেলা উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সভাপতি, সিনিয়র সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, শেখ হাসিনাবিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে দলের যে সব নেতাকর্মী হতাহত হয়েছেন, তাঁদের প্রতিটি পরিবার এবং উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যানদের কাছে একটি ঈদকার্ড এবং একটি চিঠি পাঠিয়েছেন৷ তারেক রহমান স্বাক্ষরিত এই চিঠি এরই মধ্যে পৌঁছতে শুরু করেছে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা এবং আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারে সদস্যদের কাছে৷
ঈদকার্ডে তারেক রহমান লিখেছেন, ‘‘গণতন্ত্রহীন দুর্বিষহ অন্ধকারে নিমজ্জিত বাংলাদেশ৷ শকুনির হিংসার থাবায় রক্তাক্ত প্রিয় মাতৃভূমি৷ ইনশাআল্লাহ, আমাদের সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও' আন্দোলনের মাধ্যমে অচিরেই কেটে যাবে অন্ধকার, ফুটবে আলো, প্রতিষ্ঠিত হবে কাঙ্খিত গণতন্ত্র ও সুশাসন৷''
চিঠিতে বর্তমান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে লিখেছেন ‘‘আওয়ামী লীগের সঙ্গে জনগণ নেই৷ সেদিন আর বেশি দূরে নয়, যেদিন এই অবৈধ হাসিনা সরকারের পতন ঘটবে৷ আপনারা সোচ্চার থাকুন৷ দেশ বাঁচাতে মানুষ বাঁচাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আহ্বানে সাড়া দিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিন৷ ইনশাআল্লাহ আমাদের ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে কাটবে আঁধার, ফুটবে আলো৷''
বিএনপি-র একাধিক নেতা বলেছেন, ‘‘ঈদের পরই আন্দোলনের ডাক দেয়ার কথা বলেছেন বিএনপি সেই আন্দোলনের অংশ হিসেবেই নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে তারেক রহমানের এই চিঠি ও ঈদকার্ড৷ এবারের আন্দোলন চূড়ান্ত সফলতার দিকে নিয়ে যেতে চায় বিএনপি জোট৷
আর বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব রহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘‘রোজার পরে আন্দোলনের ডাকে ভীত হয়ে এরই মধ্যে সরকারের ঘুম হারাম হয়ে গেছে৷'' তিনি অভিযোগ করেন, ‘‘আন্দোলন ঠেকাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে আটক করা হচ্ছে৷'' তাঁর দাবি ‘‘সরকার এখন পাগলা ঘোড়ায় পরিণত হয়েছে৷ আর মন্ত্রীরা চাকরি বাঁচাতে যা ইচ্ছে তাই করছে৷''