বিএনপি বাদ?
১ নভেম্বর ২০১৩নির্বাচন কমিশন মোটামুটিভাবে জানুয়ারির প্রথম দিকে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷ আর তাই যদি হয়, তাহলে চলতি নভেম্বরেই নির্বাচনকালীন সরকার গঠন হবে৷ এর আগে, মন্ত্রিসভার বড়জোর আর একটি বৈঠক হতে পারে৷ মন্ত্রীরা সচিবদের সেরকম আভাসই দিয়েছেন বলে জানা গেছে৷ সরকার নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে বলে তিন দিন আগে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ৷ এরপর শুক্রবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দিন খান আলমগীর বলেছেন, বিএনপি না এলে অন্যান্য রাজনৈতিক দল নিয়ে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে৷ তিনি বলেন, আওয়ামী লীগই সেই সরকার পরিচালনা করবে৷
নিজের নির্বাচনি এলকা চাঁদপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আরো বলেন যে, সর্বদলীয় সরকারই বাংলাদেশে সঠিক সময়ে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করবে৷ আর এই প্রক্রিয়ার যারা বিরোধিতা করবে, তারা গণতন্ত্র ও দেশের শত্রু৷
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, নির্বাচনের জন্য হাতে বেশি সময় নেই৷ তাই সর্বদলীয় সরকার গঠনে খুব বেশি দেরিও নেই৷ সেই সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷ বিএনপি চাইলে এখনও আলোচনা করতে পারে৷ পারে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিতে৷ তবে সংবিধানের বাইরে কিছু করা হবে না৷
এর জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেছেন, নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে৷ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে একতরফা নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই৷ তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কোনো বৈধতা নেই৷ আর তাদের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনও মানে না বিএনপি৷ তাই তারা কি সিদ্ধান্ত নিল তাতে কিছু যায় আসে না৷ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন হলে নির্বাচন কমিশনও পুনর্গঠন হবে৷ তাঁর কথায়, সংলাপের নামে সরকার নাটক করছে৷ তাই আন্দোলনে কোনো ছাড় দেয়া হবে না৷ আন্দোলন আরো তীব্র থেকে তীব্র করা হবে৷ আন্দোলনের মাধ্যমেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করা হবে৷
এদিকে, আগামী সোমবার থেকে তিন দিন টানা হরতাল না অবরোধ কর্মসূচি দেয়া হবে – তা চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপির নেতৃত্বে বিরোধী ১৮ দলীয় জোট৷ এ নিয়ে জোট নেতাদের মধ্যে ভিন্নমত আছে৷ তবে শুক্রবার রাতে অথবা শনিবার কর্মসূচি চূড়ান্ত হতে পারে বলে খবর৷