বিএনপি ছাড়াই নির্বাচন?
৩১ অক্টোবর ২০১৩চাঁদপুরে নিজের নির্বাচনী এলাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা.দীপু মনি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, সাংবিধানিক সংকটের কারণে যাতে কোনো অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতা দখল করতে না পারে, এ জন্য যথা সময়েই নির্বাচন হবে৷ সরকার কোনো অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে পারেনা৷ তাই বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নির্বাচন যথা সময়েই হবে৷
তিনি আরও বলেন, সংলাপের জন্য বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, তা এখনো উন্মুক্ত আছে৷ বিরোধী দলীয় নেত্রী যখন চাইবেন তখনই সংলাপ হতে পারে৷ আর নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় অন্তর্বর্তী সরকারে কারা থাকছেন, তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি৷
এর জবাবে বিএনপি-র যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে৷ কোনো দলীয় বা সর্বদলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবেনা৷ প্রধানমন্ত্রী টেলিফোনে বিরোধী দলীয় নেত্রীর সঙ্গে কথা বলে একটি নাটক করেছেন৷ তাঁরা আসলে সংলাপ চান না৷ আর সংলাপ হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার নিয়ে৷ এ নিয়ে সংলাপে সব সময় রাজি আছে বিএনপি৷''
তিনি বলেন, সরকার আগে থেকেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের ষড়যন্ত্র করছে৷ কারণ তারা জানে নিরপেক্ষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি হবে৷ তাই তারা নির্বাচন কমিশন তাদের লোক দিয়ে সাজিয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, ডা. দীপু মনিসহ সরকারের বেশ কিছু মন্ত্রী, এমপি এবং এবং নেতা আছেন, যাঁরা আগামী নির্বাচনে চরম পরাজয়ের মুখোমুখি হবেন৷ ‘‘তারাই সরকারকে এখন দ্রুত একতরফা নির্বাচনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে৷ তারা চায় না দেশে নিরপেক্ষ কোনো নির্বাচন হোক আর বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিক৷''
ব্যারিস্টার খোকন বলেন, সরকারের এই একতরফা নির্বাচনের ষড়যন্ত্র সফল হবে না৷ বিরোধী দল এ ধরনের নির্বাচন প্রতিহত করবে৷ আর দেশের মানুষ এ ধরনের নির্বাচন মানবেনা এবং আন্তর্জাতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য হবে না৷