রমনীদের আলোচনায় বারাক ওবামা
৬ নভেম্বর ২০১২মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে দুই প্রার্থীর প্রথম টেলিভিশন বিতর্কের কথাই ধরুন৷ সেদিন এক ঘণ্টায় এই বিষয়ে প্রকাশ হয়েছিল এক কোটিরও বেশি টুইটার বার্তা৷ একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে এত অল্প সময়ে এত বেশি টুইট আগে কখনো দেখা যায়নি৷ আর ২০০৮ সালের সঙ্গে তুলনা করলে বলতে হয়, সেবার নির্বাচনের দিনে সাকুল্যে টুইটের সংখ্যা ছিল বিশ লাখেরও কম৷
মার্কিন নির্বাচনী প্রচারণায় সামাজিক যোগাযোগের ব্যবহার অবশ্য বাড়িয়েছে ওবামা শিবিরই৷ ২০০৮ সালে ‘হোপ' বা ‘চেইঞ্জ' শিরোনামে ইন্টারনেট প্রচারণাগুলো সাড়া ফেলেছিল৷ ওবামাকে এজন্য অনেকে বলেন ‘ইন্টারনেট প্রেসিডেন্ট'৷ ২০০৮ সালের তুলনায় বর্তমানে ফেসবুক ব্যবহারকারী বেড়েছে দশ গুণ৷ এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্ধেক জনসাধারণ ফেসবুক সদস্য৷ চার বছর আগের তুলনায় টুইটার ব্যবহারকারীর সংখ্যাও এখন পাঁচ গুণ বেশি৷
বর্তমানে টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের চাইতে সামাজিক মাধ্যমে প্রচারণা চালিয়ে ফায়দা হচ্ছে বেশি, এমনটাই মনে করেন ‘সোশ্যাল বেকারস' নামক একটি সামাজিক মাধ্যম বিশ্লেষণকারী সংস্থার কর্মকর্তা মাইক গিসোন্ডি৷ তিনি বলেন, ‘‘টেলিভিশনের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মার্কেটিং অনেক বেশি ফলপ্রসু৷ টেলিভিশন বিজ্ঞাপন অনেক ব্যয়বহুল এবং পুরোপুরি একমুখী৷ অন্যদিকে ফেসবুক কিংবা টুইটার বার্তা আলোচনার সূচনা করে যা পরবর্তীতে বিশ্লেষণও করা যায়৷''
প্রশ্ন জাগতে পারে, মার্কিন নির্বাচন নিয়ে ঠিক কি ধরনের আলোচনা চলছে ফেসবুকে৷ নির্বাচন বিষয়ক ‘ফেসবুক-সিএনএন ইলেকশন ইনসাইট্স টুল' জানাচ্ছে, ফেসবুকে রিপাবলিকান প্রার্থী মিট রমনির তুলনায় বারাক ওবামাকে নিয়ে মাতামাতি বেশি৷ বিশেষ করে ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সি রমনীরা ওবামাকে নিয়ে ফেসবুকে চ্যাট করছেন বেশি৷ অন্যদিকে, একই বয়সি পুরুষদের আলোচনায় বেশি জায়গা পাচ্ছেন মিট রমনি৷
বলাবাহুল্য, রমনি এবং ওবামা আনুষ্ঠানিকভাবেই আছেন ফেসবুক, টুইটারে৷ ফেসবুকে এই দুই প্রার্থীর প্রচারণায় ভিন্নতা চোখে পড়ার মতো৷ মিট রমনি তাঁর পাতায় লিখেছেন, দেশকে ভালোবেসে ভোট দিন৷ অন্যদিকে ওবামার কথা হচ্ছে, আমার এবং রমনির ভবিষ্যত পরিকল্পনা পড়ে দেখুন এবং এগুলোর মধ্য থেকে আপনার জন্য সুবিধাজনকটি বেছে নিন৷