1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বাদ রবীন্দ্রনাথ, নতুন লেখক আদিত্যনাথ, রামদেব

১৬ জুলাই ২০২১

নতুন প্রজন্মের নতুন সিলেবাস। রবীন্দ্রনাথের জায়গা নিলেন বাবা রামদেব। বিজেপির উত্তরপ্রদেশে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস নিয়ে বিতর্ক।

https://p.dw.com/p/3wYzq
যোগী আদিত্যনাথ
ছবি: Altaf Qadri/AP Photo/picture alliance

উত্তরপ্রদেশের স্কুলপাঠ্যে এতদিন ছিল রবীন্দ্রনাথের ছুটি গল্পটি। দশম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশে পড়ানো হয় এনসিইআরটি-র বই। অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় শিক্ষা ব্যবস্থার পাঠ্যসূচি। সেখানেই ইংরেজি পাঠ্যসূচিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছুটি গল্পটির ইংরেজি অনুবাদ ছিল-- 'দ্য হোম কামিং'। দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এবং শিক্ষাবিদ সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণণের নিবন্ধ 'দ্য উইমেনস এডুকেশন'ও ছিল সেখানে। কিন্তু ওই সমস্ত লেখায় আপত্তি আছে যোগী সরকারের। তাই সিলেবাস থেকে লেখাগুলি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী চৌধুরী চরণ সিং বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের পাঠ্যক্রমে ঢোকানো হয়েছে বাবা রামদেবের নিবন্ধ 'যোগ চিকিৎসা রহস্য'। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের 'হঠযোগ স্বরূপ'ও অবশ্যপাঠ্য করা হয়েছে।

এখানেই শেষ নয়, দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি বই থেকে বাদ পড়েছে আর কে নারায়ণের গল্প 'অ্যান অ্যাস্ট্রোলজার্স ডে'। মুকুল আনন্দের 'দ্য লস্ট চাইল্ড'ও বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়েছে শেলির কবিতা। দশম শ্রেণির পাঠ্যসূচি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে সরোজিনী নায়ডুর কবিতা 'দ্য ভিলেজ সং'।

স্বাভাবিক ভাবেই উত্তরপ্রদেশের এই নতুন সিলেবাস নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন সরকার এই লেখাগুলি বাদ দিল, তা নিয়ে সরকারের তরফে কোনো কথা বলা হয়নি। বিরোধীরা সরব হয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, লিবারাল লেখা বাদ দিয়ে হিন্দুত্ববাদী রচনা ঢোকানো হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সিলেবাসে। এটাই সত্যিকারের মগজধোলাই। ছাত্রছাত্রীরা ছোটবেলা থেকেই তৈরি হবে হিন্দুত্ববাদী চেতনা নিয়ে।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, এনডিটিভি)