বাইডেনের এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ
১৫ জানুয়ারি ২০২১হাতে আর এক সপ্তাহও নেই। ২০ জানুয়ারি পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথগ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তার আগে এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোভিড রিলিফ প্যাকেজের পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন বাইডেন। জানালেন, কী ভাবে ওই টাকায় কার্যত ভেঙে পড়া মার্কিন অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পুনরুদ্ধারের কথা ভাবছেন তিনি।
২০২০ সালের শেষ পর্বেই এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাজেটে সম্মতি জানিয়েছিল অ্যামেরিকার কংগ্রেস। ট্রাম্প প্রাথমিক ভাবে সেই বিলে সই করতে রাজি না হলেও পরে তা করে দেন। ট্রাম্প সই করলেও এই ফান্ডের পরিকল্পনা করেছেন বাইডেন এবং পরবর্তী ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। নির্বাচনে জেতার পরেই তাঁরা প্রথম বৈঠক করেছিলেন কোভিড পরিস্থিতি কী ভাবে সামাল দেওয়া যায়, তা নিয়ে। সেই বৈঠকে এক ধাপ দুই ধাপ করে কী ভাবে কোভিড মোকাবিলার কথা তাঁরা ভাবছেন, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছিল। তারপরেই এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্যাকেজের কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট।
এই মুহূর্তে অ্যামেরিকায় প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার ৩০০ মানুষ হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত হয়ে মারা যাচ্ছেন। কোভিডের আক্রান্তের সংখ্যা প্রচুর। একই সঙ্গে গত প্রায় এক বছরে ধীরে ধীরে বিপর্যস্ত হয়েছে মার্কিন অর্থনীতি। মানুষ কাজ হারিয়েছেন। বেতন কমে গিয়েছে। বাড়ি থেকে বের হতে না পেরে বহু মানুষের ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে। বাইডেন বৃহস্পতিবার বলেছেন, এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, যা গত বেশ কয়েকটি প্রজন্ম কোনো দিন দেখেনি, কোনো দিন এমন সময়ের কথা ভাবতেও পারেনি।
এই পরিস্থিতিতে এক দশমিক নয় ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনৈতিক প্যাকেজ কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা ব্যাখ্যা করেছেন বাইডেন। তিনি বলেছেন, দুইটি স্টেপে এই প্যাকেজ মানুষের উপকার করবে। এক অর্থনৈতিক ভাবে মানুষকে আবার চাঙ্গা করবে। এবং দুই, কোভিডের সঙ্গে লড়াইয়ে সাহায্য করবে। বাইডেন স্পষ্টই জানিয়েছেন, আর্থিকভাবে সাহায্য না করলে মানুষকে এই অর্থনৈতিক বিপর্যয় থেকে উদ্ধার করা যাবে না। সে কারণেই এই প্যাকেজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর আগে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দা দেখেছে অ্যামেরিকা। কিন্তু বাইডেনের বক্তব্য, বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, তা কোনো কিছুর সঙ্গেই তুলনীয় নয়। সে কথা মাথায় রেখেই খুব সাবধানে এবং সচেতন ভাবে নতুন প্যাকেজ সকলের মধ্যে ভাগ করে দিতে হবে। সেখানে গুরুত্ব দেওয়া হবে সমস্ত ধরনের মানুষকে। জাতি-ধর্ম-বর্ণের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। নতুন করে ঐক্যবদ্ধ অ্যামেরিকা গড়ে তোলাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি কাজ।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি)