1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অ্যামেরিকায় করোনা চিকিৎসায় বর্ণবাদ, মৃত্যু

২৫ ডিসেম্বর ২০২০

করোনা চিকিৎসাতেও বর্ণবাদ। অ্যামেরিকায়। এই বর্ণবাদের শিকার কৃষ্ণাঙ্গ নারী চিকিৎসকের হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/3nChF
অ্যামেরিকায় বর্ণবাদ বিরোধী বিক্ষোভ।ছবি: Megan Jelinger/REUTERS

কিছুদিন আগেই বর্ণবাদী পুলিশের অত্যাচারে একের পর এক কৃষ্ণাঙ্গের মৃত্যু নিয়ে উত্তাল হয়েছে অ্যামেরিকা। 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' আন্দোলন ছড়িয়েছিল সারা দেশে। যার জের এসে পড়েছিল প্রেসিডেন্ট  নির্বাচনে। প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট জো বাইডেনের প্রচারে গুরুত্ব পেয়েছে এই বর্ণবাদী ঘটনা। কিন্তু সেই বর্ণবাদের আরেক কুৎসিত ছবি দেখা গেল করোনা চিকিৎসায়। ইন্ডিয়ানায় কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা চিকিৎসক সুসান মুর করোনায়আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তিনি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছিলেন, তাঁকে চিকিৎসা পেতে ভিক্ষা করতে হচ্ছে। তাঁর শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক তাঁকে ছুঁয়েও দেখছেন না। কোনো কথা শুনছেন না। সুসান মুর রোববার মারা গেছেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, রোগীর চিকিৎসার ক্ষেত্রে পক্ষপাতের ঘটনাকে তাঁরা খুবই গুরুত্ব দেন। তবে নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নিয়ে তাঁরা কিছু বলবেন না।

সুসান জানিয়েছিলেন, বার বার ব্যথা হওয়া সত্ত্বেও তিনি চিকিৎসা পাননি। হাসপাতালের চিকিৎসক সে সব আমলই দেননি। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ায় তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন। কিন্তু ওই শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক তাঁর কোনো শারীরিক পরীক্ষা করেননি।

সুসানের ছেলের বয়স ১৯। তাঁর বাবা-মাও অসুস্থ। তাঁর ও পরিবারের খরচ চালাবার জন্য গো-ফান্ড-মি বলে সামাজিক মাধ্যমে একটি পেজ তৈরি করা হয়েছিল। সেখানে এক লাখ দুই হাজার ডলারের সাহায্য এসেছে।

গত ২৯ নভেম্বর তাঁর করোনা ধরা পড়ে। তখন তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুসানের জ্বর ছিল। কাশির সঙ্গে রক্ত উঠছিল। নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। তিনি নিজে চিকিৎসক হওয়া সত্ত্বেও হাসপাতালে চিকিৎসা পেতে বেগ পেতে হয়েছিল।

সুসান জানিয়েছিলেন, তাঁর ফুসফুসের স্ক্যান করার জন্য, ও ওষুধ পেতে রীতিমতো ভিক্ষা করতে হয়েছিল। শ্বেতাঙ্গ চিকিৎসক এমন ভাব দেখাচ্ছিলেন যেন তিনি মাদকাসক্ত। অথচ তিনি জানতেন, সুসানও একজন চিকিৎসক ও মাদক নেন না। তখন তিনি মেডিকেল আইনজীবীকে লেখেন, তাঁকে ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অন্যত্র ভর্তি করার জন্য। তাঁকে ডিসচার্জ করা হয়। কিন্তু কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আবার ভর্তি করতে হয়। কারণ, তাঁর শরীরের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছিল। সুসান জানিয়েছিলেন, ''আমার মনে হয়েছে, আমার গায়ের রঙ সাদা হলে আমাকে এই কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হতো না। এই ব্যবহার পেতে হতো না।''

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, 'ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার' নিয়ে যত আন্দোলনই হোক না কেন, অ্যামেরিকা বদলায়নি।

জিএইচ/এসজি(এপি, রয়টার্স, বিবিসি)