1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

তথ্য সংরক্ষণ

অমৃতা পারভেজ১১ অক্টোবর ২০১৩

বাংলাদেশে তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পরও কিন্তু তথ্য পাওয়া খুব সহজ নয়৷ তথ্য চেয়ে না পেয়ে মামলাও হয়েছে বেশ কিছু৷ নিরাপত্তা সংস্থাগুলি যে প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহ করছে, তাতে সব সময় কি তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় পাওয়া সম্ভব?

https://p.dw.com/p/19y9y
ARCHIV - Ein Anschluss für ein DSL-Kabel aus dem Telefon-Festnetz an einem DSL-Router, aufgenommen am 20.07.2009. Die geplante Erweiterung des Internet-Adressraums geht einen wichtigen Schritt voran. Die Internet-Verwaltung ICANN veröffentlicht am Mittwoch (13.06.2012) in London die Namen der Unternehmen und Institutionen, die sich für eine neue Adress-Endung beworben haben. Foto: Frank Rumpenhorst dpa (zu dpa «ICANN veröffentlicht Bewerber für neue Internet-Adressräume» vom 13.06.2012) +++(c) dpa - Bildfunk+++
ছবি: picture-alliance/dpa

কেউ যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে তখন সেই ব্যক্তির সৃষ্ট তথ্য সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করা সম্ভব৷ তবে গুপ্তচর বিভাগ বেশি আগ্রহী ‘মেটাডাটা' সম্পর্কে৷ নেট ব্যবহারকারী সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ওয়েবভিত্তিক বিষয়বস্তুর সঙ্গে পাওয়া যায়, যাকে বলা হয় মেটাডাটা৷ যেমন ডিজিটাল ছবি৷ এসব ছবির সঙ্গে মেটাডাটা হিসেবে থাকে কোন ক্যামেরায় ছবিটি তোলা, ছবির রেজোলিউশনসহ বিভিন্ন তথ্য৷ যদি ব্যবহারকারী ট্র্যাকিং ফাংশন বন্ধ করে না দেন, তবে কিছু ক্যামেরায় তোলা ছবিতে স্থান সম্পর্কেও তথ্যও পাওয়া যায়৷

এভাবে কে কাকে ই-মেল করছে, সেই ব্যক্তির পরিচয়, সময় সম্পর্কে তথ্য থাকে মেটাডাটায় যা গুপ্তচর বিভাগ পেতে চায়৷ প্রেরক, ঠিকানা, তারিখ থেকে শুরু করে যে সার্ভার ব্যবহার করে ই-মেলটি করা হয়েছে, সেই তথ্যও এভাবে সংগ্রহ করা সম্ভব৷

ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে কিছু না কিছু তথ্য যোগ করেন৷ বিশেষ করে ফেসবুক এবং টুইটারে একজন ব্যবহারকারী শুধু নিজের সম্পর্কে সাধারণ তথ্যই জানান না, তাঁরা তাঁদের পছন্দ, অপছন্দ এমনকি বিনোদনমূলক কর্মকাণ্ড সম্পর্কেও জানান৷ ব্লগে সমাজ সচেতনতা, মানবাধিকার, সরকার বিরোধী লেখাও লেখা হয়৷ স্মার্টফোনের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনগুলোও ব্যবহারকারীদের ধারণার চেয়ে বেশি তথ্য নিয়ে থাকে৷

ডার্কনেটের মাধ্যমে পরিচয় গোপন রেখে যোগাযোগ করা সম্ভব৷ প্রযুক্তিগত কারণে এখনো সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সনাক্ত করতে পারেন না৷ কেননা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের যে ‘আইপি অ্যাড্রেস' দিয়ে শনাক্ত করা যায়, ডার্কনেট ব্যবহারকারীদের সেই অ্যাড্রেসটাই নেই৷

সবচেয়ে আলোচিত ডার্কনেটের নাম ফ্রিনেট৷ তাদের ওয়েবসাইটে গেলে বিনামূল্যে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করা যায়৷ এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের নিজেদের কপিরাইটই ডার্কনেটের একটি সার্ভারে পরিণত হয়৷ মিশরে আরব বসন্তের সময় ডার্কনেটের ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল৷

বাংলাদেশের তথ্য অধিকার আইন হওয়ার পর এখন ইন্টারনেটে নজরদারি বেড়ে গেছে৷ গণজাগরণ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকজন ব্লগারকে আটক করা হয়েছিল ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখার অভিযোগে৷ এরপর এপ্রিল মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহিউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, ফেসবুক, টুইটার বা ব্লগে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত সংক্রান্ত বা বিতর্কিত কোনো লেখা চোখে পড়লে সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে সেই ব্যক্তির বিচার হবে৷

তাই বাংলাদেশে ডার্কনেটের ব্যবহার আগে না হয়ে থাকলেও খুব শিগগিরই যে সেটা শুরু হয়ে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য