বাংলাদেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যম মতাদর্শিকভাবে সাম্প্রদায়িক?
২২ অক্টোবর ২০২১সদ্য সমাপ্ত শারদীয় দুর্গাপূজার অষ্টমীতে ১৩ অক্টোবর কুমিল্লায় তাণ্ডবের রেশ এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৩টি জেলায় ছড়িয়েছে৷ ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের হিসেব মতে, ১৩ অক্টোবর থেকে পরবর্তী ৬দিনে মন্দির ও পূজামণ্ডপসহ ১০১টি ধর্মীয় স্থাপনা, এবং ১৮১টি বাড়ি ও দোকানপাটে হামলা হয়েছে৷ পুলিশ জানিয়েছে, এসব হামলায় ৭১টি মামলায় সাড়ে চারশ’ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ বরাবরের মতই দেশে এসব সাম্প্রদায়িক হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ হচ্ছে৷ কিন্তু এবারই প্রথম একটি বিষয় লক্ষ্য করা গেছে, সেটি হলো- কুমিল্লার ঘটনার পর আমাদের টিভি চ্যানেলসহ বেশিরভাগ গণমাধ্যম পুরোপুরি নিশ্চুপ ছিল৷ যেখানে তেলাপিয়া মাছের প্রজনন ক্ষমতার গতিতে বৃদ্ধি পাওয়া আমাদের টিভি চ্যানেলগুলো একটি ফিতা কাটার খবর সরাসরি সম্প্রচার করতে পিছপা হয় না সেখানে তারা এত বড় একটি ঘটনাকে ব্ল্যাক আউট করেছিল৷ এ নিয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যেও প্রশ্ন দেখা দেয়৷ এতে গণমাধ্যম বিশেষ করে টিভি চ্যানেলগুলো তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছে৷ তবে রংপুরে হামলার পর যখন সারাদেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে তখন গণমাধ্যমগুলোতে এ সংক্রান্ত উপস্থাপনা এবং পরিবেশনার অতিরঞ্জনও দেখা যাচ্ছে৷ ফলে একদিকে নীরবতা আবার হঠাৎ করে জেগে উঠে অতিরঞ্জন – দু’য়ের অদ্ভুত সংমিশ্রণ সাম্প্রদায়িক সংঘাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা সংক্রান্ত গবেষণায় এক নতুন মাত্রা যোগ করবে৷
সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতন বাংলাদেশে নতুন কোনো ঘটনা নয়৷ ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে, ২০১৩ সালে পাবনার সাঁথিয়ায়, ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে, ২০১৭ সালে রংপুরের গঙ্গাচড়ায়, ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে, ২০১৯ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিনে, চলতি বছর সুনামগঞ্জের শাল্লায় হিন্দুপল্লিতে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে৷ বাংলাদেশে গত দুই দশকে যেসব নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে যে দলই জিতুক না কেন প্রতিটি নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা ব্যাপক হামলার শিকার হয়েছে৷ প্রতিবারই আমাদের গণমাধ্যমগুলোতে দু ধরনের উপস্থাপনা দেখা গেছে, এক. লিবারেল মতাদর্শে বিশ্বাসী গণমাধ্যমগুলোতে ঘটনার সাদামাটা প্রকাশ; দুই. ইসলামী মতাদর্শে বিশ্বাসী গণমাধ্যমগুলোতে ঘটনাগুলোর একপেশে ও খণ্ডিত উপস্থাপনা ছিল৷ এবারই প্রথম দেখা গেলো, বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় নীরব থাকার উদাহরণ৷ ২০০২ সালে গুজরাট (গোধরা) দাঙ্গার পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা বা দাঙ্গার ঘটনা অনেকদিন ধরেই গণমাধ্যমে খবর হতো না৷ ব্যাপক সমালোচনার পর ২০১৭ সাল থেকে আবার তারা দাঙ্গার খবর পুরোদস্তুর প্রচার করতে শুরু করে৷ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা সহিংসতার খবর প্রচার না করার পেছনে পশ্চিমবঙ্গের সাংবাদিকদের যুক্তিটি ছিল, এ ধরনের খবর প্রকাশ হলে সেগুলো অন্যান্য জায়গায় সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে উস্কানি দেবে৷ বাংলাদেশেও কুমিল্লার পূজামণ্ডপে হামলার খবর ব্ল্যাকআউট করার পেছনে টকশোতে একটি টিভির কর্তাব্যক্তিকে একই যুক্তি দিতে শুনেছি৷ পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতবর্ষের সাংবাদিকরা তাদের আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন দুটি কারণে৷ প্রথমত: গণমাধ্যমের চিরায়ত যে দায়িত্ব সঠিক ও নির্ভুল তথ্য তুলে না ধরলে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের প্রতিকার পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷ নির্যাতিতরা এমনিতেই প্রান্তিক অবস্থানে থাকেন৷ ফলে গণমাধ্যম যদি তার প্রহরীর ভূমিকা থেকে সরে যায় তাহলে তারা আরও প্রান্তিক অবস্থানে চলে যান৷ শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতীয় উপমহাদেশের প্রত্যেকটি দেশে চিরায়তরূপে সাম্প্রদায়িকতা জনজীবনের একটি নিয়মিত অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক সংঘাত হলো এর কুৎসিত অভিব্যক্তি৷ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সংঘাত বা হামলায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে কোন গবেষণা না হলেও ভারতে বেশ কিছু গবেষণা হয়েছে৷
২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও দাঙ্গায় গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয় টিভি চ্যানেল ও সংবাদপত্রগুলো যখন সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক খবর এবং মতামত প্রকাশ করেছিল তখন জাতীয় ইংরেজি দৈনিকগুলো প্রকৃত খবর প্রকাশ করেছিল, যার কারণে রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর নির্যাতন বন্ধে তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়া হয়৷ ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর সাম্প্রদায়িক সহিংসতার খবর ব্ল্যাক আউটের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার দ্বিতীয় কারণটি হলো সামাজিক গণমাধ্যমের প্রভাব ও ভুয়া খবরের আধিক্য৷ এখন সামাজিক মাধ্যম এতটাই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে, অনেক সময়ে বিকৃত করে এমন কিছু তথ্য ছড়ানো হয় যাতে দাঙ্গা, সংঘাত অনিবার্য হয়ে পড়ে৷ সামাজিক মাধ্যমের এই চাপ আটকাতে গেলে সত্যিটা জানাতে হবে, বাস্তবে কী হচ্ছে, সেটা দেখাতে হবে৷ সামাজিক মাধ্যমের গুজবের সমান্তরালে বিশ্বাসযোগ্য গণমাধ্যমগুলোর দায়িত্বশীলভাবে সংবাদ পরিবেশন এখন সময়ের দাবি৷ ১৯৮৪ সালের শিখ দাঙ্গায় ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা ছিল সবচেয়ে লজ্জাজনক৷ সরকারি চাপে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো প্রথমে কিছুই ঘটেনি এমন ভাব নিয়েছিল৷ পরে নির্যাতিত শিখদের বিরুদ্ধে একপেশে সংবাদ পরিবেশন করেছিল৷ ফলশ্রুতিতে শিখরা একেধারে স্থানীয় ও জাতীয় উভয় পর্যায়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল৷ ভারতীয় গণমাধ্যম গবেষকরা মনে করেন, ১৯৮৪ ও ২০০২ সালের দুটো ঘটনায় গণমাধ্যম তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারলে অর্থাৎ যা ঘটেছে তা ঠিক এবং যথাযথভাবে তুলে ধরলে হতাহতের ঘটনা অনেক কম হত৷
প্রতিবারই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংস ঘটনার পর এ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আমরা গণমাধ্যমে দেখি৷ দেখি কিছু সাদামাটা রিপোর্ট৷ কিন্তু সব সরকারের আমলেই সংখ্যালঘু নির্যাতন ও তাদের সম্পত্তি দখলের পেছনে রাজনৈতিক দলগুলোর যে প্রভাব তা নিয়ে গণমাধ্যমে কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন দেখা যায় না৷ প্রতিবার নির্বাচনের পর ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনাগুলো নিয়ে কি আমাদের কোন গণমাধ্যম আজ পর্যন্ত কোন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে? ২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশব্যাপী হামলার পর তদন্ত কমিটির যে সুপারিশ করেছিল সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি সে প্রশ্ন কি কখনও বাংলাদেশের গণমাধ্যম করেছে? কেন একটি হামলার সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার আজও হয়নি সে কারণ অনুসন্ধান করেছে? সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের ঘটনাগুলোর সুষ্ঠু তদন্ত করা, অপরাধীদের শাস্তির বিধান করা, নির্যাতনের কারণগুলো চিহ্নিত করে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিকারের ব্যবস্থা করা, সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা—এসব কিছুই বাংলাদেশে হয়নি৷ এতগুলো অনিবার্য প্রয়োজন কেন সম্পাদন হলো না সে প্রশ্ন রাখার কথা ছিল বাংলাদেশের মূলধারা গণমাধ্যমগুলোর, কিন্তু তারা রাষ্ট্রের মতই তারা জনগণের একটি অংশকে কার্যত অবহেলা করে গেছে৷ বাংলাদেশে যে ধরনের হাইব্রিড শাসন ব্যবস্থা (গণতন্ত্রও নয়, একনায়কতন্ত্র নয়) তাতে গণমাধ্যমের এ দায়িত্ব পালন করা সবচেয়ে জরুরি৷
গণমাধ্যম ও এর আধেয় নির্বস্তুক কোন সত্তা নয়৷ গণমাধ্যমের যে কোন আধেয় প্রকাশ বা প্রচারের পেছনে একটি মতাদর্শ থাকে৷ এই মতাদর্শিক পরিবেশনার সাথে ক্ষমতার একটি সম্পর্ক আছে৷ অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, গণমাধ্যম ক্ষমতাশীলদের আগ্রহের প্রতিফলন ঘটাতেই সবসময় সচেষ্ট থাকে৷ এর পেছনে দুটি কারণ রয়েছে৷ প্রথমত, গণমাধ্যম সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল বা সংখ্যাগুরুদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মতাদর্শের বয়ানই তুলে ধরে৷ দ্বিতীয়ত, গণমাধ্যমের কাছে তার পাঠক/অডিয়েন্স সংখ্যা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিচার্য বিষয়৷ কারণ এর সাথে তার অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিষয়টি জড়িত৷ তাই সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায়কে চটিয়ে গণমাধ্যম প্রকারান্তে নিজের আর্থিক ক্ষতিকে ডেকে আনতে চায় না৷
বাংলাদেশের মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে ধর্মের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে৷ সে প্রভাব থেকে আমাদের গণমাধ্যমও মুক্ত নয়৷ রাজনীতিবিদরা মাঝে মাঝে ধর্মীয় ইস্যুতে খেলেন এবং গণমাধ্যমকে প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করেন৷ বাংলাদেশে ধর্মভিত্তিক সংগঠনের দ্বারা পরিচালিত কয়েকটি পত্রিকা ছাড়া বাকি সব গণমাধ্যমই নিজেদের অসাম্প্রদায়িক দাবি করে৷ কিন্তু গণমাধ্যমগুলো আদৌ অসাম্প্রদায়িক কীনা তা বুঝার জন্য তার নীতি এবং আধেয়ের দিকে খেয়াল করতে হবে৷ বাংলাদেশের টিভি চ্যানেলগুলো ইসলামিক অনুষ্ঠান যেভাবে প্রচার করে সেভাবে কি অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান প্রচার করে? দেশের জনপ্রিয় পত্রিকাগুলো শুক্রবারে ইসলামিক কলাম যেভাবে প্রকাশ করে একইভাবে কি অন্য ধর্মের কথা তুলে ধরে? এসব অনুষ্ঠান বা কলাম প্রচার ও প্রকাশের মূল নীতি যদি হয় মানুষকে ঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য ধর্মের বাণী প্রচার করা তাহলে একটি প্রশ্ন সহজেই উত্থাপন করা যায়- পৃথিবীতে এমন কোন ধর্ম কি আছে যেখানে মানুষকে দুর্নীতি বা অনিয়ম করতে বলা হয়েছে? সেক্ষেত্রে শুধু একটি ধর্মের বাণী প্রচারের মাধ্যমে কিভাবে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো অসাম্প্রদায়িক চরিত্র প্রতিষ্ঠা করতে চায়? মিডিয়া পাড়ায় পূজা উদযাপন বা শুধু ইসলামিক অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে কোন গণমাধ্যম নিজেকে অসাম্প্রদায়িক দাবি করতে পারে না৷ সব ধর্মের মানুষের জন্য সমান সুযোগ কি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে আছে? ধর্ম ও জাতিগত বৈচিত্র্যের যে সৌন্দর্য বাংলাদেশে আছে তা কি দেশটির গণমাধ্যমের আধেয় দেখে বুঝা যায়? বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর আধেয় বিশ্লেষণ করলে এ ধারণা সহজেই অনুমেয় হয় যে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ গণমাধ্যম মতাদর্শিক দিক থেকে সাম্প্রদায়িক৷
২০০০ সালের পর থেকে ভারতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসগুলোতে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে পরিচালিত বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, গণমাধ্যমগুলো এ ধরনের খবর প্রচার করতে গিয়ে ক্ষমতাসীন সরকার, সরকার সমর্থিত রাজনৈতিক দল ও সরকারের বিভিন্ন বাহিনীর বক্তব্যকে বেশি প্রাধান্য দিয়েছে৷ বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোও একই ধরনের নীতি অনুসরণ করে৷ ১৩ অক্টোবরের পর থেকে বাংলাদেশের পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের খবরে নিজস্ব অনুসন্ধান নেই বললেই চলে৷ প্রায় সব খবরই সরকার, রাজনৈতিক ব্যক্তি এবং পুলিশ ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর বক্তব্য নির্ভর৷ পুলিশ যেভাবে ঘটনাগুলোকে দেখছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলো সেভাবেই উল্লেখ করছে৷ উপরন্তু সাম্প্রদায়িক ঘটনায় মূলধারার গণমাধ্যমের নীরবতা তাদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে৷ আজকের যুগে, মূলধারার গণমাধ্যম কোন ঘটনাকে ব্ল্যাক আউট করার সিদ্ধান্ত নিলেও, মানুষ সামাজিক মাধ্যমে এটি সম্পর্কে জানতে পারে৷ অর্থাৎ এখন আর গণমাধ্যম নীরব থাকলে বা অন্ধ হলেই প্রলয় বন্ধ থাকে না৷ দেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলিই তার প্রমাণ৷ এ অবস্থা চললে দেশের সংখ্যালঘুরা হয়ত বলতে বাধ্য হবেন, প্রহর শেষের আলোয় রাঙা সেদিন চৈত্রমাস, মিডিয়া তোমার চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ৷