বছরে সাড়ে চার কোটি মোরগ হত্যা!
১১ নভেম্বর ২০১৮গণহারে বাচ্চা মোরগ হত্যা না করে বরং ভিন্নপন্থায় উৎপাদিত ডিম প্রথমবারের মতো জার্মানির বাজারে ছাড়া হয়েছে৷ বাচ্চা মোরগ কারণ হচ্ছে, এসব মোরগের মাংস ব্রয়লারের মোরগের মতো ভালো নয়, আর সেগুলো ডিমও উৎপাদন করতে পারে না৷
তবে, প্রাণী অধিকার কর্মীরা এভাবে বাচ্চা মোরগ হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন সময়৷ তা সত্ত্বেও এতকাল বর্বর এই পন্থা বন্ধের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি৷ তবে, এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে৷ জার্মানির কৃষি মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে লাইপসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক নতুন এক পন্থা আবিষ্কার করেছেন যা ব্যবহার করে একটি ডিম পরীক্ষা করেই বোঝা যাবে যে মোরগ হবে নাকি মুরগী৷
কৃষিমন্ত্রী ইউলিয়া ক্ল্যোকনার বৃহস্পিতিবার বার্লিনে এই বিষয়ে বলেন, ‘‘এই পন্থায় ভবিষ্যতে পুরুষ মোরগ হত্যার জন্য দীর্ঘসময় অপেক্ষা করতে হবে না৷''
নতুন উদ্ভাবিত পন্থায় ডিমের খোলসের মধ্যে সুক্ষ্ম একটি ফুটো করে কিছু তরল বের করে পরীক্ষা করা হয় এবং তখন বোঝা যায় যে ভবিষ্যতে এই ডিম ফুটে মোরগ নাকি মুরগি বের হবে৷ মোরগ ডিমগুলো তখন শুরুতেই আলাদা করে সেগুলো দিয়ে উচ্চমানের প্রাণীখাদ্য তৈরি করা যায়৷
ইতোমধ্যে কিছু হ্যাচারি এই পন্থা ব্যবহার শুরু করেছে৷ আর সেসব হ্যাচারিতে উৎপাদিত ডিমও বার্লিনের ২২৩টি সুপারমার্কেটে বিক্রি শুরু হয়েছে৷ আশা করা হচ্ছে, আগামী বছর সুপারমার্কেট দু'টির ৫,৫০০ সেন্টারে এমন ডিমের দেখা মিলবে, যেগুলোর উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়ায় কোন পুরুষ মোরগ হত্যা করা হয়নি৷
চেজ উইন্টার/এআই