লাভজনক না হওয়ায় ‘পুরুষ হত্যা’
১ মার্চ ২০১৪জার্মানির কয়েকটি রাজ্যে পুরুষ মুরগি, মানে মোরগ পৃথিবীতে আসার অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই মেরে ফেলা হয়৷ এ জন্য ডিম ফোটার পর পরই বাচ্চা মুরগিগুলো থেকে এদের আলাদা করে ফেলা হয়৷ বাডেন ভুর্টেনব্যার্গ রাজ্যের হ্যাচারি মালিক ভ্যার্নার হোকেনব্যার্গার গ্যাস দিয়ে বাচ্চা মোরগ মেরে ফেলা সমর্থন করেন না৷ তিনি বলেন, ‘‘অবশ্যই এটা আমাকে বিব্রত করে৷ তাই আমরা বিকল্প খুঁজছি৷ আমরা এখন ভিন্ন উপায়ে বাচ্চা মোরগের দশ শতাংশ বাঁচাতে পারি৷ তবে এই হার বাড়াতে চাইলে সময় লাগবে৷''
মোরগ বাচ্চাদের একটি ছোট্ট অংশ অর্গানিক খামারে যাওয়ার সুযোগ পায়৷ বাকিদের খুব দ্রুত হত্যা করা হয়৷ কারণ সেগুলো লাভজনক নয়৷ তবে নর্থরাইন ওয়েস্টফেলিয়া রাজ্য এভাবে বাচ্চা নিধন নিষিদ্ধ করেছে৷
হোকেনব্যার্গারের খামার থেকে বাচ্চা মোরগগুলিকে পাঁচশ কিলোমিটার দূরে লোয়ার সাক্সেনি রাজ্যে পাঠানো হয়৷ অর্গানিক কৃষক কার্স্টেন বাউক নীতিগত কারণে এগুলো কিনে নেন৷ যদিও আর্থিকভাবে তা লাভজনক নয়৷ তবে তাঁর কাছে অর্থই সব নয়৷ বাউক বলেন, ‘‘এরা অনেক দিন বাঁচে৷ এদের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটে ধীর গতিতে৷ এগুলোর মাংসও অনেকে পছন্দ করে না৷ তাছাড়া বংশবৃদ্ধিও এদের হাতে নেই৷ তাই বাচ্চা মুরগিগুলোকে বড় হওয়ার সুযোগ দিয়ে এদের সাধারণত ফেলা দেয়া হয়৷''
এখানে অবশ্য বাচ্চা মোরগগুলো গর্বের সঙ্গে বড় হওয়ার সুযোগ পায়৷ ধীরে ধীরে৷ তারপর বধ করা হয় তাদের৷ সাধারণ ব্রয়লার মুরগির তুলনায় এদের শরীরে মাংসের পরিমাণ কম থাকে, যা অলাভজনক৷
তবে এই কৃষকের আয়ের মূল উৎস মুরগি এবং ডিম৷ একটি মুরগি সারা জীবনে ২৫০টির মতো ডিম পাড়ে৷ মুরগির ভাইদের খরচ মেটাতে এ সব ডিম বেশি দামে বিক্রি করেন বাউক৷
বাউক জানেন যে, তাঁর উদ্যোগ গোটা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম হবে না৷ তবে তিনি একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাচ্ছেন৷ তিনি মনে করেন, খাদ্য শিল্পে শুধু লাভের কথা চিন্তা করলে বর্তমান অবস্থায় পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে না৷ তাই ভোক্তাদেরও শুধু সস্তায় পণ্য কেনার বাসনা বাদ দিতে হবে৷
বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে৷