1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বই ধ্বংস করে শিল্পকর্ম!

৪ জানুয়ারি ২০১৮

বই কি শুধু পড়ার জন্য? এক স্কটিশ শিল্পী বইকে কার্যত ধ্বংস করে সেই ধ্বংসাবশেষ নিয়ে সৃষ্টিকর্ম মেতে উঠছেন৷ বইয়ের নামের বিমূর্ত রূপ তুলে ধরে তিনি মানুষকে আরও সংবেদনশীল করে তুলতে চাইছেন৷

https://p.dw.com/p/2qJXH
Wörterbuch - Royal Academy Spanien
ছবি: picture alliance/dpa/L. Piergiovanni

টুকিটাকি কাগজের ছেঁড়া টুকরো, ধ্বংসের চিহ্ন৷ ভাল করে দেখলে সাহিত্যমোদীরা শিউরে উঠতে পারেন৷ বই ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ভাস্কর্য, রহস্যময় সত্বা, অতীতের সংস্কৃতি ও বিভিন্ন চরিত্রের আবক্ষ মূর্তিতে রূপান্তরিত করা হয়৷ শিল্পী জর্জিয়া রাসেল বলেন, ‘‘আমি এই টুকরোগুলিকে নিখুঁত ও সমানুপাতিক করে তুলতে চাই না৷ স্টুডিওতে কিছু সময় রেখে সেগুলিকে এদিক-ওদিক নিয়ে যেতে চাই, যাতে নির্দিষ্ট স্থানে রাখার আগে তাদের একটা জীবন থাকে৷ কারণ এভাবে তাদের নিজস্ব এক ব্যক্তিত্ব সৃষ্টি হয়৷''

জর্জিয়া রাসেলের হাতিয়ার স্ক্যালপেল বা খোদাই করার ছোট ছুরি৷ সেটি দিয়ে তিনি বইপত্র, ছবি, স্ক্রিন ছিন্নভিন্ন করতে পারেন৷ নিজেকে ‘ওয়ার্কিং মম' বা কর্মরতা মা বলেন তিনি৷ আপাতত তিনি পর পর ঝোলানো রং করা পর্দা নিয়ে কাজ করছেন৷ জর্জিয়া বলেন, ‘‘মাঝেমাঝে দুশ্চিন্তা হয়, কারণ ধরুন আমি অনেক দিন ধরে একটা পেন্টিং নিয়ে কাজ করেছি৷ সেটি দেখতে ভালই লাগছে৷ কিন্তু আমি জানি, ছুরি চালিয়ে সেটি সম্পূর্ণ বদলে দেব৷ তাই কিছু পেতে গেলে কিছু হারাতে হয় – সবসময়ে সেটা মেনে নিতে হবে৷''

মানুষকে সংবেদনশীল করে বই

প্রদর্শনীর নাম ‘দ্য ওপেন উইন্ডো'৷ তাঁর সৃষ্টিকর্মের উপর দর্শকের দৃষ্টি স্থির থাকে না৷ জর্জিয়া রাসেল প্রকৃতি খুব ভালবাসেন৷ সেইসঙ্গে বইও পছন্দ করেন৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই বইয়ের নাম আমাকে ভাবিয়েছে৷ সেই নাম থেকে প্রেরণা নিয়ে আমি সৃষ্টির কাজ করি৷ আরও অগ্রসর হলে আমার মনে হয়, অ্যাবস্ট্রাক্ট বা বিমূর্ত রূপ আরও যথাযথ হবে৷''

বিস্ফোরণ ঘটিয়ে বই ধ্বংস করা হয়৷ জর্জিয়া রাসেল বুঝিয়ে বলেন, যে ধ্বংসলীলা সত্ত্বেও তিনি বইয়ের মধ্যে রাখা জ্ঞান সংরক্ষণ করতে চান৷ বিষয়টা বেশ অদ্ভুত মনে হলেও তিনি এভাবে মানুষকে আরও সংবেদনশীল করে তুলতে চান৷ 

কাটিয়া শালা/এসবি

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য