ফ্রান্সে আরও এক মাস লকডাউন
১৪ এপ্রিল ২০২০ইউরোপের কয়েকটি দেশ যখন করোনা সংকট থেকে বেরিয়ে এসে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাবার উদ্যোগ শুরু করেছে, তখন ফ্রান্স দেশজুড়ে লকডাউনের মেয়াদ আরও এক মাসের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলো৷ সোমবার রাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে বলেন, পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে এবং আশার আলো দেখা যাচ্ছে৷ তবে এই সংগ্রামে এখনো জয়ের মুখ দেখা যায় নি৷ ১১ই মে নাগাদ নতুন এক পর্যায় শুরু হবে৷ মাক্রোঁ বলেন, অবস্থা অনুযায়ী নতুন বিধিনিয়ম স্থির করা হবে৷
কড়া সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাক্রোঁ বললেন, প্যারিস ও ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলের হাসপাতালগুলির পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয় নি৷ তাঁর মতে, গত প্রায় চার সপ্তাহ ধরে বিধিনিয়মের সুফল অবশ্যই দেখা যাচ্ছে৷ মাক্রোঁ বলেন, ফ্রান্সের মানুষ আবার স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে যাবার স্বপ্ন দেখলেও তিনি কোনো নির্দিষ্ট দিনক্ষণ এখনো জানাতে পারছেন না৷
এমানুয়েল মাক্রোঁ স্বীকার করেন, ফ্রান্স এমন পরিস্থিতির জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিল না৷ তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশেও যথেষ্ট দস্তানা, হাতের জেল, মাস্কের অভাব দেখা গেছে বলে তিনি দাবি করেন৷ উল্লেখ্য, দেশে যথেষ্ট পরিমাণ মাস্ক ও করোনো ভাইরাস পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ যথেষ্ট সমালোচনার মুখে পড়েছেন৷ সোমবারের ভাষণে তিনি বলেন, ১১ই মে-র মধ্যে উপসর্গ দেখা গেলে সব মানুষের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে৷ তাছাড়া মানুষকে সাধারণ মাস্ক দেওয়া হবে৷ চলতি সপ্তাহে পরিবার ও ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করা হবে বলে মাক্রোঁ জানান৷
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, ১১ই মে-র পর স্কুল ও দোকানবাজার ধাপে ধাপে খোলা হবে৷ তবে হোটেল-রেস্তোরাঁ ও সিনেমা আরও কিছুদিন বন্ধ রাখা হবে৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাইরের দেশের জন্য ফ্রান্সের সীমান্ত আপাতত বন্ধ থাকছে৷ উল্লেখ্য, মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে আয়ারল্যান্ড ছাড়া বাকি ইইউ দেশগুলি ৩০ দিনের জন্য অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল৷ ইইউ কমিশন আগামী ১৫ই মে পর্যন্ত ইইউ দেশগুলিতে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ রাখার প্রস্তাব দিয়েছে৷
এসবি/কেএম (এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)