1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভিয়েতনামে গরিবের জন্য চালের মেশিন

১৩ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসে এখনো একজনও মারা যায়নি ভিয়েতনামে৷ কিন্তু সমাজতান্ত্রিক দেশটিতে কিছু মানুষকে থাকতে হচ্ছে অর্ধাহারে, অনাহারে৷ তাদের জন্যও এসে গেছে চালের মেশিন!

https://p.dw.com/p/3aqQ8
ছবি: Reuters/Y. Duong

২৪ ঘন্টা চাল পাওয়া যায় সেই মেশিন থেকে৷ এটিএম মেশিন থেকে যেমন টাকা পাওয়া যায়, ঠিক সেভাবে বাটন টিপলে দেড় কেজি করে চাল পাওয়া যায় বলে মেশিনটিকে ‘চালের এটিএম’ বলতে চান উদ্যোক্তা হুয়াং তুয়ান আন৷ কয়েক বছর আগে হো চি মিন শহরের হাসপাতালগুলোতে নিজের তৈরি ছোট ছোট ডোরবেল দান করেছিলেন তিনি৷ করোনা-সংকটে কাজ হারানো গরিবদের জন্য এবার তার উদ্যোগেই এসেছে চালের মেশিন৷

সরকারের কঠোর পদক্ষেপের ফলে ভিয়েতনামে করোনা ভাইরাস এখনো বড় সংকট হয়ে ওঠেনি৷ এ পর্যন্ত ২৬২ জনের দেহে সংক্রমণ ধরা পড়লেও কারো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি৷

এশিয়ার এ দেশটিতৈ অঘোষিত লকডাউন চলছে গত ৩১ মার্চ থেকে৷ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবন যাপন করতে হচ্ছে সবাইকে৷ এর ফলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর, গৃহকর্মী বা লটারির টিকেট বিক্রেতার মতো স্বল্পআয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপদে৷ 

হুয়াং তুয়ান আন শুধু হো চি মিন শহরে কিছু চালের এটিএম স্থাপন করেছিলেন স্বল্প আয়ের মানুষদের জন্য৷ এখন অবশ্য হ্যানয়, হু এবং দানাং-এর মতো বড় শহরের গরীব মানুষেরাও পাচ্ছেন মেশিন থেকে চাল নেয়ার সুবিধা

এর ফলে পরিবারের সদস্যদের মুখে তিন বেলা খাবার তুলে দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন যারা, তাদের জীবনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে৷ স্বামী আপাতত বেকার বলে তিন সন্তান নিয়ে খুব বিপদে পড়েছিলেন নগুয়খন থি লি৷ ‘চালের এটিএম' তার কষ্ট দূর করতে যে সহায়ক হয়েছে তা জানাতে গিয়ে ৩৪ বছর বয়সি এ নারী বলেন, ‘‘এই চালের এটিএম থেকে পাওয়া এক ব্যাগ চাল আমাদের খুব কাজে আসছে৷ এই চাল একদিনের জন্য যথেষ্ট৷ এখন শুধু অন্য খাবারগুলো দরকার হয় আমাদের৷ মাঝেমাঝে প্রতিবেশীরা তাদের উদ্বৃত্ত খাবার দিয়ে দেন৷ তাছাড়া ঘরে ইনস্ট্যান্ট নুডুলস তো থাকেই৷’’

এসিবি/কেএম (রয়টার্স)

২০১৮ সালের ছবিঘরটি দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য