‘ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা থেকে অনেক কিছুই শিক্ষণীয়’ - সুবীর মিত্র
১৩ অক্টোবর ২০১১বইমেলায় সুবীর মিত্র আসছেন অনেক বছর ধরে৷ ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা আসলে প্রকাশকদের মেলা৷ যেখানে ঠিক আমাদের বইমেলার মতো বই কেনাবেচা তেমন হয়না৷ তবে যেটা হয়, তা'হল বই বিষয়ে ধারণাটা মেলে৷ উন্নত প্রযুক্তির দেশগুলিতে কীভাবে বদলাচ্ছে বই, তার চেহারাটা বুঝতে পারা যায়৷ সেগুলোর কিছুটাও যদি আমাদের ভাষার বইগুলিতে প্রয়োগ করা যায়, তাতে মান অনেক উন্নত হয় বইয়ের৷
ইন্টারনেটকে সাধুবাদ দিলেন সুবীর মিত্র৷ বলেন, একটা সময় ছিল, যখন বিদেশে বাংলাভাষার উৎসাহী পাঠকের কাছে বই পাঠানোটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার ছিল৷ বর্তমানে সে কাজটা অনেক সহজ করে দিয়েছে ইন্টারনেট৷ ইউরোপের অন্যান্য দেশে বাংলা বই সেভাবেই পৌঁছচ্ছে৷ আর ইংল্যন্ডের ক্ষেত্রে রূপসী বাংলা নামের একটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি দোকান থেকেই বিক্রি করছে বাংলা বই৷ তার ফলে নিঃসন্দেহে বাংলা বইয়ের প্রচারে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছে এই সংস্থাটি৷
ফ্রাঙ্কফুর্টে এ বছর অতিথি দেশ আইসল্যান্ড৷ মেলা সবেমাত্র শুরু হয়েছে, আইসল্যান্ডের তেমন কোনো বৈশিষ্ট্য তাই এখনও চোখে পড়েনি সুবীর মিত্রের৷ তবে এই মেলা থেকে প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিনি বলতে চাইলেন যেভাবে যত্ন করে, ধৈর্য ধরে পাশ্চাত্ত্যে বই প্রকাশ করা হয়, তার থেকে বহু কিছুই শেখার আছে৷ উদাহরণ দিয়ে তিনি জানালেন, কয়েকবছর আগে একটি রুশ প্রকাশনা সংস্থার কাছ থেকে একটি শিশুপাঠ্য বইয়ের রাইটস কিনেছিল আনন্দ পাবলিশার্স৷ সে বইটি ছিল টকিং বুক৷ বা কথা বলা বই৷ সে বইটিকে বাংলায় প্রকাশ করার পর দারুণ সাড়া পাওয়া গিয়েছিল৷ জানালেন তিনি৷
বিশেষ করে ছোটদের বইয়ের প্রকাশনা নিয়ে প্রচুর চিন্তাভাবনা করা হয় পাশ্চাত্ত্যে৷ সে বিষয়টি জরুরিও নিঃসন্দেহে৷ জরুরি, কারণ, শৈশব হল আসল ভিত তৈরি করার সময়৷ বই যার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম৷
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ