1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

বিশ্বের বৃহত্তম বইটি প্রদর্শিত হলো ফ্রাঙ্কফুর্টে

১২ অক্টোবর ২০১০

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট আম মাইন শহরে রবিবার শেষ হলো বিশ্বের বৃহত্তম বইমেলা ‘ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা’৷ আর সেখানেই প্রদর্শিত হলো বিশালাকার এক অ্যাটলাস৷ বিশ্বের বৃহত্তম এই গ্রন্থ প্রকাশ করলো সিডনিভিত্তিক একটি প্রকাশনা সংস্থা৷

https://p.dw.com/p/Pc90
ছবি: DW

৬ ফুট বাই ৯ ফুট – এই হলো বইটির দৈর্ঘ্য-প্রস্থের পরিমাপ৷ তার ওপর বইটিতে পৃষ্ঠার সংখ্যা মোট ১২৮৷ বুঝতেই পারছেন, এহেন এক আকৃতির কারণে বইটি মেলায় প্রদর্শনের সময় কতোটা হিমশিম খেয়েছেন সংশ্লিষ্টরা৷ অস্ট্রেলিয়ার সিডনি শহরে ‘মিলেনিয়াম হাউস' নামের সেই প্রকাশনা সংস্থার প্রধান গর্ডন চিয়ার্সকে বলতেই হলো যে, এটাকে তার জায়গায় ঠিকঠাক বসাতে তাঁদের প্রায় ঘন্টা তিনেক সময় লেগেছে৷

বইমেলায় প্রদর্শনের জন্য প্রথম আটটি পাতার পুনরাবৃত্তি করা হয়েছে বলেও জানালেন গর্ডন চিয়ার্স৷ তার কারণ অবশ্য একটাই৷ বই পড়ুয়া হাজারো মানুষের সংস্পর্শে এসে বইটা যেন নোংরা না হয়ে যায়৷ আর তাছাড়া পরবর্তীকালে আর্কাইভ করার জন্য মোটা কাগজ দিয়ে তৈরি করায়, বইটা শুধু যে মস্ত বড় – তাই নয়, বেশ ভারীও বটে৷ প্রায় ১২০ কিলোগ্রাম৷ তাই যে সমস্ত দর্শনার্থীরা বইটার পাতা উল্টে দেখার চেষ্টা করছিলেন, তাঁদের খানিকটা বেগ পেতেও হচ্ছিল৷ তবে এতো বড় একটা বই উল্টে-পাল্টে পড়ে দেখার মজাটা যে একটু ভিন্ন হবে – তা তো বলাই বাহুল্য৷

Buchmesse Frankfurt 2010 Das größte Buch der Welt
ছবি: DW

কিন্তু, কেন এহেন এক বিশাকৃতির বই সৃষ্টি করা ? গর্ডন চিয়ার্স জানালেন, ১৬৬০ সালে, মানে প্রায় ৩৫০ বছর আগে, শেষ বারের মতো এমনই এক বিশাল আকারের বই উপহার দেওয়া হয় রাজা দ্বিতীয় চার্লসকে৷ সে কথা এখন ইতিহাস৷ তাই আজ, পেরুর মাচু-পিচু পর্বতের মতো পৃথিবীর নানা আকর্ষণ দিয়ে সাজানো এই মানচিত্র প্রকাশ করে আবারো ইতিহাস গড়তে চান ‘মিলেনিয়াম হাউস'এর প্রধান গর্ডন চিয়ার্স৷ তাঁর বিশ্বাস, ইতিহাসে একদিন তাঁর এই বইটিও স্থান পাবে৷ আর তাই তো, এটাকে শক্ত-পোক্ত করে তৈরি করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি৷

প্রকাশনা সূত্রে জানা গেছে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আর কয়েকদিনের মধ্যে মাত্র ৩১টি কপি ছাড়া হবে বাজারে৷ আর দাম ? বিশ্বের বৃহত্তম বই হিসেবে এক-একটি কপির দাম ধার্য করা হয়েছে ১ লক্ষ মার্কিন ডলার৷ এবার দেখা যাক, কোন কোন দেশের গ্রন্থাগারে জায়গা করে নেয় বিশ্বের সর্ব বৃহৎ এই বইটি৷

প্রতিবেদন: দেবারতি গুহ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক