1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু করলো ইসরায়েল

১৬ অক্টোবর ২০১১

ইসরায়েলের কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা ৪৭৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দির তালিকা প্রকাশ করেছে ইসরায়েল৷ এসব বন্দিকে মুক্তি দিতে যাচ্ছে তারা৷ বিনিময়ে মুক্তি পাবে হামাসের হাতে আটক থাকা ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিত৷

https://p.dw.com/p/12szB
ছবি: dapd

প্রক্রিয়া

আশা করা হচ্ছে আগামী বুধবারের মধ্যেই ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে এই বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে৷ ইসরায়েলি সেনা গিলাদ শালিতের মুক্তির বিনিময়ে নেতানিয়াহু সরকার ১,০২৭ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে৷ তবে ধাপে ধাপে এই বন্দি বিনিময় অনুষ্ঠিত হবে৷ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে মুক্তি দেওয়া হবে ৪৭৭ জনকে, যাদের মধ্যে রয়েছে ২৭ জন ফিলিস্তিনি নারী৷ ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ তাদের নাম রোববার প্রকাশ করেছে৷ হামাসের ওয়েবসাইটেও একই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে৷ অর্থাৎ দুই পক্ষই এই ব্যাপারে একইভাবে এগুচ্ছে বলে মনে হচ্ছে৷

স্থানান্তর

যাদের মুক্তি দেওয়া হবে তাদের অনেককেই ইতিমধ্যে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেছে৷ বার্তা সংস্থা ডিপিএ জানিয়েছে ইতিমধ্যে চার শতাধিক বন্দিকে মিশরের সীমান্তবর্তী এলাকার কেতজিয়ত কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷ এছাড়া নারী বন্দিদের সহ বাকিদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে ইসরায়েলের কেন্দ্রস্থলে শ্যারন কারাগারে৷ এইসব স্থানান্তরিত বন্দিদের দুয়েকদিনের মধ্যে মুক্তি দেওয়া হবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ তবে এদের সবাইকে যে ফিলিস্তিনে ফেরত পাঠানো হবে তা নয়৷ ইসরায়েলি কারাগার সূত্রে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, যে বন্দিদের মধ্যে ১৩১ জন গাজায় এবং ৫৫ জন পশ্চিম তীরে তাদের বাড়িতে ফেরত যাবে৷ অন্যদিকে পশ্চিম তীরের কারাগারে আটক ২০৩ বন্দিকে অন্য কোথাও পাঠানো হবে৷ তাদের কাউকে কাউকে গাজায় নয়তো তৃতীয় কোন দেশে পাঠানো হবে৷ উল্লেখ্য, ইসরায়েলি কারাগারে আটক এসব ফিলিস্তিনি বন্দিদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা বছরের পর বছর ইসরায়েলের হাতে আটক৷ ইসরায়েলে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে এসব ফিলিস্তিনিকে বছরের পর বছর ইসরায়েলের কারাগারে দিন কাটাতে হয়েছে৷

বিপরীত চিত্র

এদিকে বন্দি বিনিময়ের এই ঘটনার বিরুদ্ধে খোদ ইসরায়েলেই কথা উঠেছে৷ এই নিয়ে রাজধানী তেল আভিভে প্রতিবাদও জানিয়েছে অনেক ইসরায়েলি৷ তাদের মধ্যে কেউ কেউ ইতিমধ্যে ইসরায়েলি সরকারের বন্দি মুক্তির সিদ্ধান্তকে আদালতে চ্যালেঞ্জ করেছে৷ তবে ইসরায়েলি উচ্চ আদালতের ইতিহাসে সরকারের বন্দি বিনিময়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রায় দেওয়ার কোন ঘটনা নেই৷ এদিকে তেল আভিভে যখন বিক্ষোভ চলছে, তখন ফিলিস্তিনে উৎসবের পরিবেশ৷ দীর্ঘদিন পর বন্দিদের ফেরত পাওয়ার আশায় সেখানে এখন চলছে তাদের বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি৷ পশ্চিম তীর এবং গাজা দুই জায়গাতেই ফিলিস্তিনিরা এখন তাদের স্বজন এবং বন্ধুদের দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন৷

প্রতিবেদন: রিয়াজুল ইসলাম

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই