ফাস্ট ফুড
২১ জানুয়ারি ২০১৩ফাস্ট ফুড খেলে শিশুদের হাঁপানি, একজিমা বা চর্মরোগ এবং নাকের সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ ‘থোব়্যাক্স' জার্নালে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য৷ এতে দেখা যাচ্ছে, যে সব অল্প বয়সি শিশু-কিশোর সপ্তাহে তিন বা তার বেশি বার ফাস্ট ফুড খায়, তাদের হাঁপানি হওয়ার আশঙ্কা অন্যদের চেয়ে ৩৯ শতাংশ বেশি৷ ছয় থেকে সাত বছর বয়সিদের মধ্যে এই শঙ্কা ২৭ শতাংশ৷ গবেষকরা বলছেন, অল্প বয়সিদের মধ্যে যারা ফলমূল এবং শাকসবজি বেশি খায়, তাদের হাঁপানি বা অ্যালার্জির ঝুঁকি অনেক কম থাকে৷
সর্বশেষ গবেষণার সঙ্গে সম্পৃক্ত লেখক অধ্যাপক লুইস গার্সিয়া-মার্কোস এর মতে, এক্ষেত্রে ফাস্ট ফুড খাওয়া ছাড়াও কিছু ফ্যাক্টর রয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, সারা বিশ্বেই এমনটা ঘটছে৷ এসব রোগের ঝুঁকি বাড়ার পেছনে পৃথিবীর পশ্চিমাকরণ বা ম্যাকডোনাল্ডাইজেশনও দায়ী৷''
ছোটবেলায় হাঁপানি এবং অ্যালার্জি বিষয়ক গবেষণা প্রকল্প আইসাক'এর জন্য ১৯৯৪ সাল থেকেই বিজ্ঞানীরা গবেষণা করছেন৷ এখন অবধি ১০০টি দেশের বিশ লাখের মতো শিশুকে এই গবেষণা প্রকল্পের আওতায় পরীক্ষা করা হয়েছে৷
মাক্স রুবনার ইন্সটিটিউটের পুষ্টি বিশেষজ্ঞ বের্নহার্ড ওয়াটসেল এই বিষয়ে বলেন, ‘‘যেসব শিশু ফাস্ট ফুডে অভ্যস্ত তারা সাধারণত বাড়িতেও অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খায়৷ তাদের মধ্যে মাংস এবং শর্করা গ্রহণের প্রবণতা বেশি৷''
গবেষকদের প্রকাশ করা এসব উদ্বেগজনক তথ্যের প্রভাবও অবশ্য জনজীবনে পড়তে শুরু করেছে৷ উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে ক্যালিফোর্নিয়ার কথা৷ সেখানকার রাজ্য কর্তৃপক্ষ ২০১০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে রেস্তরাঁয় ট্রান্স ফ্যাটযুক্ত খাবার বিক্রি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে৷ এছাড়া নিউ ইয়র্ক সিটি কর্তৃপক্ষ রেস্তরাঁয় চিনিযুক্ত বড় পানীয় বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে গত সেপ্টেম্বর থেকে৷
ওয়াটসেল মনে করেন, জার্মানিতে এরকম উদ্যোগ খুব সহজে হয়ত দেখা যাবে না৷ কারণ যুক্তরাষ্ট্রের মতো ইউরোপের খাদ্য পরিবেশ প্রমিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি৷ তাঁর চেয়ে বরং আপাত সমাধান হচ্ছে, শিশুদেরকে স্বাস্থ্যকর খাবার সম্পর্কে জ্ঞান দেওয়া৷ যাতে করে তারা ফাস্ট ফুডে আগ্রহী না হয়৷