ইউক্রেনের বিক্ষোভ
১১ ডিসেম্বর ২০১৩প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ চলছে ইউক্রেনে৷ সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ-র সঙ্গে একটি বাণিজ্য ও সহযোগিতা চুক্তি করতে অস্বীকৃতি জানালে রাস্তায় নেমে আসে বিরোধী দলের হাজার হাজার বিক্ষুব্ধ সমর্থক৷ ইইউ-এর ক্রমাগত আহ্বানের পরও দেশটিতে এখনো শান্তি ফেরেনি৷ সোমবার রাজধানী কিয়েভে বিক্ষোভরত বিরোধী দলের সমর্থকদের হঠানোর উদ্যোগ নিয়েছিল পুলিশ৷ প্রচণ্ড শীত উপেক্ষা করে ইইউ-ইউক্রেন সম্পর্ক অটুট রাখার দাবিতে রাস্তায় নামা কয়েক হাজার বিক্ষুব্ধ মানুষকে হঠানোর জন্য বুধবার আবার অভিযানে নামে পুলিশ৷ পুলিশের এ অভিযানের পরও সমাবেশস্থল থেকে মাইকে শান্তি বজায় রাখা এবং সংঘর্ষে লিপ্ত না হবার আহ্বান জানানো হয়৷ অনেক জায়গা থেকে বিক্ষোভকারীরা সরে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন৷ এর আগে ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডো ভেস্টারভেলে ইউক্রেন সরকারকে বিক্ষোভকারীদের ওপর দমন-পীড়ন না চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ তারপরও পুলিশ এ অভিযান চালায়৷
তবে রয়টার্স জানিয়েছে রাজধানী কিয়েভের ইনডিপেনডেন্স স্কয়ারে এখনো বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে৷ সমাবেশ স্থল থেকে পুলিশের প্রতি আক্রমণ না চালানোর এবং বিক্ষোভকারীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছিল৷ এ পর্যায়ে ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, সমাবেশস্থলে পুলিশ হামলা চালাবে না৷ সেখানে তাই আগের মতোই বিক্ষোভ চলছে৷ শেষ খবর অনুযায়ী, পুলিশ ইনডিপেনডেন্স স্কয়্যার এবং সিটি হল প্রাঙ্গণ থেকে ফিরে গেছে৷
এমন পরিস্থিতেই সংকট নিরসনের জন্য দু দিনের সফরে ইউক্রেন যান ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন৷ প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচের সঙ্গে তাঁর সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠক হয়েছে৷ অ্যাশটনের মুখপাত্র জানান, বৈঠকে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে৷
এদিকে বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে উদ্ধৃত করে রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী মিকোলা আজারভ সংকট নিরসনের জন্য ইইউর কাছে ২০ বিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন৷ এর আগে সরকার বিরোধীদলের সঙ্গে বৈঠকে বসেও অচলাবস্থা নিরসনের প্রস্তাব দিয়েছিল৷ কিন্তু বিরোধী দল জানায়, সরকার আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিলেই কেবল এ প্রস্তাবে সাড়া দেয়া সম্ভব৷
এসিবি / জেডএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি)