পার্সেল বোমা'র লক্ষ্য সার্কোজি, দূতাবাস
২ নভেম্বর ২০১০গ্রিসে পার্সেল বোমা
এথেন্সের একটি কুরিয়ার কার্যালয়ে প্রথম পার্সেল বোমাটির সন্ধান মেলে৷ মেক্সিকো দূতাবাসের ঠিকানা লেখা একটি পার্সেল দেখে কুরিয়ার কর্মীর সন্দেহ হলে সেটিকে তিনি মেঝেতে ছুড়ে দেন৷ সঙ্গে সঙ্গে জ্বলে যায় পার্সেল বোমাটি৷ চারদিক ছেয়ে যায় কালো ধোঁয়ায়৷ এই ঘটনায় আহত হন একজন৷ গ্রিস টেলিভিশনে দেয়া সাক্ষাৎকারে ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সেখানে কোন বিস্ফোরণ ঘটেনি, তবে আমি ধোঁয়া বেরুতে দেখেছি এবং একজন মহিলার চিৎকার শুনেছি৷
এই ঘটনার পর পরই সক্রিয় হয় পুলিশ৷ কুরিয়ার কার্যালয়ের কাছের বাস স্টেশন থেকে ২২ এবং ২৪ বছর বয়সি দু'জনকে আটক করা হয়৷ পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আটককৃতরা মোট চারটি পার্সেল পাঠানোর চেষ্টা করে৷ তাদের সঙ্গে অস্ত্র পাওয়া গেছে৷ একজন বুলেট-অভেদ্য পোশাক এবং উইগ পরিহিত ছিল৷
বাকি পার্সেলের খোঁজ
সন্দেহভাজনদের পকেটে থাকা একটি বিল দেখে দ্বিতীয় বোমাটির সন্ধান পায় পুলিশ৷ এটির গন্তব্য ছিল ডাচ দূতাবাস৷ এছাড়া ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলা সার্কোজি এবং বেলজিয়ান দূতাবাসের উদ্দেশ্যে তৈরি দু'টি পার্সেল বোমাও উদ্ধার করেছে পুলিশ৷ তবে পুলিশ জানিয়েছে, সার্কোজির কাছে এই পার্সেল বোমা পৌঁছার তেমন কোন সুযোগই ছিলনা৷ এই বিষয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দপ্তর থেকেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি৷
দায় স্বীকার করেনি কোন গোষ্ঠী
পুলিশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আটকদের একজন চরম বামপন্থী গোষ্ঠী ‘কন্সপারেন্সি অব ফায়ার নুকলি' এর সঙ্গে যুক্ত বলে আগেই অভিযোগ রয়েছে৷ গ্রিসভিত্তিক এই নৈরাজ্যবাদী গোষ্ঠী ২০০৮ সালে সিরিজ হামলা চালিয়ে আলোচনায় আসে৷ এছাড়া ২০১০ সালে এই গোষ্ঠী একাধিক বোমা হামলা চালিয়েছে৷ কিন্তু তাতে ক্ষয়ক্ষতি তেমন হয়নি৷ অবশ্য সোমবারের এই পার্সেল বোমার দায় কেউ এখনো স্বীকার করেনি৷
বলাবাহুল্য, এথেন্সের পার্সেল বোমার সঙ্গে সম্প্রতি লন্ডন বা দুবাইয়ে আটক পার্সেল বোমার কোন যোগসূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: রিয়াজুল ইসলাম