মালবাহী বিমানে বোমা: এক নতুন সন্ত্রাস
৩১ অক্টোবর ২০১০সর্বশেষ খবর বলতে ইয়েমেনে এক মহিলার গ্রেপ্তার৷ রাজধানী সানা'র উপকণ্ঠে একটি বাড়ি ঘিরে ফেলে ঐ মহিলা এবং তাঁর মাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ কেননা পার্সেল বোমার রিসিটগুলোতে তাঁর মোবাইল নম্বর ছিল৷ মহিলা নাকি সানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাক্তারির ছাত্রী৷ বাবা এক পেট্রোলিয়াম ইঞ্জিনিয়ার৷ এ' হল ইয়েমেন কর্তৃপক্ষের খবর৷ কর্তৃপক্ষ নাকি শনিবার আরো ২৬টি পার্সেল বাজেয়াপ্ত করেছেন এবং পরীক্ষা করে দেখছেন৷
আল-কায়েদার হস্তাক্ষর?
ওদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন বলেছেন, ব্রিটেনের ইস্ট মিডল্যান্ড বিমানবন্দরে নামা একটি বিমানে যে বোমাটি পাওয়া গেছে, সেটা আকাশেই বিস্ফোরিত হতে পারতো৷ অন্তত ব্রিটিশ তদন্তকারীদের তা'ই ধারণা৷ প্যাকেজটা আবার এসেছিল ইয়েমেন থেকে জার্মানির কোলোন, অর্থাৎ কোলোন-বন বিমানবন্দর হয়ে৷ ওদিকে দুবাই পুলিশ যে বোমাটা খুঁজে পেয়েছে সেটিও ঐ পিইটিএন উচ্চশক্তির বিস্ফোরক দিয়ে তৈরি৷ ২০০৯ সালের বড়দিনের তথাকথিত আন্ডারপ্যান্টস বোমারু এবং তারও আগে ২০০১ সালের ব্যর্থ জুতো বোমারুও এই বিস্ফোরকই ব্যবহার করেছিল৷ যে কারণে আল-কায়েদা'কে সন্দেহ৷ দুবাই'এর পুলিশ প্রধানও বলেছেন যে, বোমাটি ঠিক সময়ে আবিষ্কৃত না হলে, তা বিমানেই, অর্থাৎ উড়ালেই ফাটতে পারতো৷
ফাটেনি যে, সেজন্য সৌদি আরবকেই ধন্যবাদ দিতে হয়৷ তারাই বোমার খোঁজ দেয়৷ সেই কারণেই তো মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিশেষ করে রিয়াধ'কে টেলিফোন করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷ এবং ক্যামেরন'কে তো বটেই৷
নতুন ধরণের সন্ত্রাস
মালবাহী বিমানে বোমা তো এক নতুন ধরণের সন্ত্রাস৷ যার ফলে প্রতিক্রিয়াও নতুন৷ যুক্তরাষ্ট্রের কথা তো বাদই দেওয়া যাক - ওবামা একটি বিশ্বাসযোগ্য সন্ত্রাসের ঝুঁকির কথা বলেছেন৷ জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল এখন ব্রিটেনে এবং ক্যামেরনের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধের বিষয়টি নিয়েই আলোচনা করছেন৷ ফ্রান্সের পর জার্মানিও আর ইয়েমেন থেকে এয়ার কার্গো, অর্থাৎ বিমানে পাঠানো মাল গ্রহণ করবে না, বলে ঘোষণা করেছে৷ যুগপৎ জার্মানির মাল পরিবহণ সংস্থা ডিএইচএল মার্কিন অনুরোধে রাজি হয়েছে যে, তারা ইয়েমেন থেকে ইতিমধ্যেই এসে পৌঁছনো এয়ার কার্গো তাদের লাইপজিগ সেন্টারে পাঠিয়ে চেক করবে৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: সুপ্রিয় বন্দোপাধ্যায়