1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পাকিস্তানে রাজ কাপুর, দিলীপ কুমারের বাড়িতে জাদুঘর

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

পেশোয়ারে রাজ কাপুর, দিলীপ কুমারদের বাড়ি সংস্কার করবে পাকিস্তান। জানিয়েছে পাক প্রশাসন।

https://p.dw.com/p/3j8de
ছবি: picture-alliance/AP Photo/A. Qadri

রাজ কাপুর, দিলীপ কুমারদের বাড়ি সংস্কার করে জাদুঘর তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। বহুদিন ধরেই তাঁদের বাড়ি গুলি নিজেদের হাতে নেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছিল পেশোয়ারের স্থানীয় সরকার। কিন্তু নানা সমস্যায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। গত সপ্তাহে তারা জানিয়েছে, বাড়ি গুলি সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু হবে।

Dilip Kumar und Saira Banu
ছবি: Getty Images/AFP/STR

১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগ হওয়ার আগে দীর্ঘ সময় পেশোয়ারে কাটিয়েছেন রাজ কাপুর এবং দিলীপ কুমার। তাঁদের শৈশব, কৈশোর সবই কেটেছে সেখানে। পেশোয়ারের কিস্সা খাওয়ানির রাস্তা বিখ্যাত। ওই রাস্তার উপরেই দুই বিখ্যাত বলিউড স্টারের হাভেলি। এক সময় ওই রাস্তাকে বলা হতো 'স্টোরি টেলারে'র রাস্তা। দেশ ভাগের পরে আরো অনেকের মতোই পাকিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে আসেন কাপুর এবং দিলীপ কুমারের পরিবার। মুম্বইয়ে তাঁরা পাকাপাকি বসবাস শুরু করে। তবে আশি-নব্বইয়ের দশকেও একাধিকবার নিজের বাড়ি দেখতে পেশোয়ারে গিয়েছেন রাজ কাপুর। কাপুর পরিবারের তরফে একাধিকবার তাদের হাভেলিটি জাদুঘর করার জন্য পাক সরকারের কাছে আবেদন করা হয়। দিলীপ কুমারের পরিবারও তাদের বাড়িটি সংস্কার করার জন্য পাকিস্তান সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। 

Nargis indische Filmschauspielerin
ছবি: Imago/United Archives International

রাজ কাপুর আর বেঁচে নেই, দিলীপ কুমার নব্বইয়ের ঘরে। অসুস্থ হলেও এখনও বেঁচে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান জানিয়েছে, দুইটি বাড়িই সংস্কার করে জাদুঘর তৈরি করা হবে। পেশোয়ার প্রশাসনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুইটি বাড়িই এখন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন। রাজ কাপুরের বাড়িটি এক ব্যবসায়ী কিনেছেন। বাড়িটি ভেঙে একটি শপিং মল তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। বাড়ির কিছু অংশ ভেঙেও ফেলেছিলেন। কিন্তু পাক প্রশাসন তা আটকায়। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ায়। পেশোয়ারের সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুইটি বাড়িই সরকার কিনে নেবে। তারপর সংস্কারের কাজ শুরু হবে।

এক সময় জমজমাট পেশোয়ার সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত ছিল। পরে তালিবানরা ওই এলাকার দখল নেয়। বহু পুরনো বাড়ি ভেঙে ফেলা হয়। নতুন করে পুরনো পেশোয়ারের সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে চাইছে পাক প্রশাসন।

 

এসজি/জিএইচ (বিবিসি, রয়টার্স)