1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দল

২৫ জুন ২০২১

ভোট পরবর্তী সহিংসতার তদন্তে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছে গেল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দল।

https://p.dw.com/p/3vWqS
পশ্চিমবঙ্গ
ছবি: IANS

বিতর্ক তুঙ্গে। তারই মধ্যে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের তদন্তে পশ্চিমবঙ্গে পৌঁছেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একাধিক দল। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ দাপিয়ে বেড়িয়েছে তারা। কথা বলেছে একাধিক আক্রান্ত বিজেপি কর্মী এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে। তৃণমূল অবশ্য এর মধ্যেও চক্রান্তের গন্ধ পেয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপড়েন চলছিল। বিজেপি অভিযোগ করছিল, তাদের বহু কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, সম্পত্তি নষ্ট করা হয়েছে। সিপিএমও বেশ কিছু জায়গায় সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছিল। কিন্তু শাসকদল তৃণমূল তা অস্বীকার করে। তারই মধ্যে বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত পৌঁছায়। হাইকোর্ট সেখানে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি তৈরির নির্দেশ দেয়। কিন্তু রাজ্য সরকার রায় বিবেচনার আবেদন জানায়। যার উত্তরে হাইকোর্ট কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে। রায় বদল হবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়। তারপরেই রাজ্যে আসে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একাধিক টিম।

কলকাতায় এসেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্য—ডিএসপি রাজেন্দ্র সিংহ, ডিএসপি মুনিয়া উপ্পল ও ইনস্পেক্টর জিন্টু সাকিয়া। বৃহস্পতিবার তারা উত্তর ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন। সর্বত্রই তারা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে অসুবিধার কথা শোনেন। অন্যদিকে, বসিরহাটের ন্যাজাটেও গিয়েছিল একটি প্রতিনিধি দল।

উত্তরবঙ্গে দুইটি প্রতিনিধি দল ঘুরছে। শিলিগুড়িতে গেছেন তিন প্রতিনিধির একটি দল। অন্য দলটি গিয়েছে কোচবিহার। শুক্রবার তারা আলিপুরদুয়ারও যেতে পারে।

প্রশ্ন উঠেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে। কারণ, শুধুমাত্র আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের বাড়িতেই তারা যাচ্ছেন। শাসক দল বা অন্য বিরোধী দলগুলির কর্মীদের বাড়ি তারা যাচ্ছেন না। কোচবিহারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, ''উত্তর প্রদেশে কিন্তু জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যদের দেখা যায় না। শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই একটি বিশেষ দলের কর্মীদের বাড়িতে তাদের দেখা যায়। এর থেকেই স্পষ্ট, তারা কতটা নিরপেক্ষ।'' দিনহাটার সাবেক বিধায়ক এবং উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ নেতা উদয়ন গুহ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ''আমিও তো আক্রান্ত হয়েছিলাম। আমার সঙ্গে তো কেউ কথা বলতে আসেনি?''

বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা সৌরভ সিকদার অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। তার বক্তব্য, যারা আক্রান্ত হয়েছেন, মানবাধিকার কমিশনের দল তাদের বাড়িতেই যাচ্ছে। যারা মেরেছে, তাদের বাড়িতে যাওয়ার কোনো কারণ নেই।

এসজি/জিএইচ (পিটিআই, আনন্দবাজার)