1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নির্বাচনের ফল বাতিলের দাবিতে রাশিয়ায় বিক্ষোভ

১০ ডিসেম্বর ২০১১

রাশিয়া জুড়ে এখন চলছে বিক্ষোভ৷ সেটা সদ্য সমাপ্ত সংসদ নির্বাচনের ফলাফল বাতিলের দাবিতে৷ তবে বৃহৎ অর্থে বলা যায়, দেশটির সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি ভ্লাদিমির পুটিনের বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ৷

https://p.dw.com/p/13QQK
Protesters with a huge banner reds as " Crooks give us the election back" to protest against alleged vote rigging in Russia's parliamentary elections in Moscow, Russia, Saturday, Dec. 10, 2011. Russians angered by allegedly fraudulent parliamentary elections are protesting Saturday in cities from the freezing Pacific Coast to the southwest of Russia, eight time zones away, a striking show of indignation, challenging Prime Minister Vladimir Putin's hold on power.( AP Photo/Mikhail Metzel)
নির্বাচনের ফল বাতিলের দাবিতে রাশিয়ায় বিক্ষোভছবি: dapd

গত সপ্তাহে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পুটিনের ‘ইউনাইটেড রাশিয়া' দল বিজয় লাভ করে৷ তবে আগের মতো ততটা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তাঁর দল৷ বিরোধী দলের দাবি, কারচুপি না হলে আরও কম আসন পেত পুটিনের দল৷ সাধারণ নাগরিকরা তাদের মোবাইলে তোলা বিভিন্ন কারচুপির ভিডিও ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে৷

নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই রাশিয়া জুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়৷ এরপর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে রাজধানী মস্কোর কেন্দ্রে আজ এক বিশাল বিক্ষোভের ডাক দেয় একটি সংগঠন৷ তাতে সাড়া দিয়ে বোলোৎনায়া স্কয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছে৷ পুলিশের হিসেবে এই সংখ্যা বিশ হাজার৷ কিন্তু আয়োজকরা বলছে, এই সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ, প্রায় ৪০ হাজার৷ সে হিসেবে পুটিনের আমলে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভে পরিণত হয়েছে আজকের এই সমাবেশ৷

বিক্ষোভস্থলটি ক্রেমলিনের একেবারে কাছে অবস্থিত৷ নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রায় ৫০ হাজার পুলিশকে রাস্তায় নামানো হয়েছে৷ এছাড়া হেলিকপ্টার থেকেও বিক্ষোভস্থলের দিকে নজর রাখা হচ্ছে৷

Protesters gather together to protest against alleged vote rigging in Russia's parliamentary elections in Moscow, Russia, Saturday, Dec. 10, 2011. Russians angered by allegedly fraudulent parliamentary elections are protesting Saturday in cities from the freezing Pacific Coast to the southwest of Russia, eight time zones away, a striking show of indignation, challenging Prime Minister Vladimir Putin's hold on power. (Foto:Alexander Zemlianichenko)( AP Photo/Mikhail Metzel/AP/dapd)
ছবি: dapd

এদিকে, রাশিয়ায় যেভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তার কঠোর সমালোচনা করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিন্টন৷ সমালোচনা এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকেও৷ বর্তমানে রুশ প্রধানমন্ত্রী পুটিন বিক্ষোভ উস্কে দেয়ার জন্য মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়ী করেছেন৷

গত প্রায় ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন পুটিন৷ এর মধ্যে প্রথম আট বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে৷ আর পরের চার বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে৷ এবং আবারও তাঁর প্রেসিডেন্ট হওয়া প্রায় নিশ্চিত৷ আগামী মার্চে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি তাঁর দলের পক্ষে দাঁড়াবেন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছেন৷ এরপর থেকে পুটিনের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে শুরু করে বলে জরিপে দেখা গেছে৷

বিশেষজ্ঞরা বলছেন পুটিনের শাসনামল অনেকটা সাবেক সোভিয়েত আমলের মতোই৷ দুর্নীতিতে ছেয়ে গেছে তাঁর দল ও সরকার৷

এই পরিস্থিতিতে পুটিন কী করবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত বিশ্লেষকরা৷ তিনি কি সংস্কারের পথে যাবেন, নাকি প্রভাব বিস্তারের জন্য কঠোর নীতি অনুসরণ করবেন? তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তাঁর বর্তমান মন্তব্যের কারণে অনেকে মনে করছেন পুটিন কঠোর পথেই এগোবেন৷

অবশ্য এর মধ্যে একটা আশার আলোও দেখতে পেয়েছেন বিশ্লেষকরা৷ আর সেটা হচ্ছে, এত বড় বিক্ষোভের অনুমতি, যেটা শান্তিপূর্ণভাবেই পালিত হচ্ছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: হোসাইন আব্দুল হাই

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য