নেতানিয়াহুর ভয়ঙ্কর ঘোষণা
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯আগের নির্বাচন শেষে জোট সরকার গঠনে ব্যর্থ হওয়ায় আবার ভোট চাইতে হচ্ছে নেতানিয়াহুকে৷ আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন৷ নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই প্রচারণায় সর্বশক্তি নিয়োগ করছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী৷ মঙ্গলবার এক সমাবেশে তিনি বলেছেন, ‘‘ নতুন সরকার গড়ার পর জর্ডান উপত্যকা ও ডেড সি-র উত্তরাংশে ইসরায়েলি সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাই৷''
১৯৬৭ সালের যুদ্ধের সময় পূর্ব জেরুসালেমসহ পশ্চিম তীর, গাজা ও সিরিয়ার গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরায়েল৷ এরপর ১৯৮০ সালে পূর্ব জেরুসালেম এবং ১৯৮১ সালে দেশটি গোলান মালভূমি নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করে নেয়৷ এসব আগ্রাসী উদ্যোগ দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়নি৷ তবে সম্প্রতি ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের অনুসৃত নীতি থেকে সরে এসে দু'টি পদক্ষেপেরই স্বীকৃতি দেয়৷
ইসরায়েলে প্রতিক্রিয়া
মঙ্গলবারের নির্বাচনি সভায় দেয়া নেতানিয়াহুর ভাষণ ইসরায়েলের প্রধান টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়৷ ১৭ সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টির লড়ইটা হবে ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির সঙ্গে৷ ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট পার্টির এক নেতা ইয়াইর লাপিদ নেতানিয়াহুর বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা স্রেফ নির্বাচনি কৌশল৷ তবে এই কৌশল সফল হবার নয়, কারণ, মিথ্যাটা খুবই স্বচ্ছ৷'' ইয়াইর লাপিদ মনে করেন, ‘‘ তিনি (নেতানিয়াহু) ওই এলাকাগুলো অন্তর্ভুক্ত করতে চান না, তিনি চান ভোট অন্তর্ভুক্ত করতে৷''
আরববিশ্বে প্রতিবাদ ও নিন্দা
নেতানিয়াহুর ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জর্ডান, তুরস্ক ও সৌদি আরব৷ ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে ‘আগ্রাসন' এবং ‘বিপজ্জনক পদক্ষেপ' বলে আরব লীগও এর নিন্দা জানিয়েছে৷ ওআইসি-র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের জরুরি সভা ডেকেছে সৌদি আরব৷ ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শ্তায়েহ স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, ‘‘ফিলিস্তিনের কোনো এলাকা নেতানিয়াহুর নির্বাচনি প্রচারের অংশ নয়৷''
এসিবি/ কেএম (এএফপি, এপি, ডিপিএ, রয়টার্স)