1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নিজামীর মৃত্যুদণ্ড বহাল

হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা৫ মে ২০১৬

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়৷

https://p.dw.com/p/1IidW
মতিউর রহমান নিজামী
ছবি: Getty Images/AFP/K. Godhuly

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াতের আমির ও সাবেক মন্ত্রী মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত৷ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ নিজামীর রিভিউ আবেদন খারিজ করে দেয়৷

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের একটি বেঞ্চ নিজামীর আপিলের রিভিউ খারিজ করে৷ বেঞ্চের অন্য সদস্যরা ছিলেন বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী৷ এ নিয়ে মোট দু'টি মামলায় নিজামীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো৷

''Nizami got death penalty for three charges''

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাবনায় হত্যা, ধর্ষণ, বুদ্ধিজীবী হত্যা ও গণহত্যার দায়ে ২০১৪ সালের ২৯শে অক্টোবর নিজামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে নিজামী আপিল করলে গত বছরের ৯ই সেপ্টেম্বর শুনানি শুরু হয়৷ গত ৬ই জানুয়ারি আপিলে ফাঁসির আদেশ বহাল রাখে আপিল বিভাগ৷ এরপর রিভিউ আবেদন করলে তা-ও খারিজ হয় বৃহস্পতিবার৷

২০১০ সালের ২৯শে জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের একটি মামলায় মতিউর রহমান নিজামীকে আটকের পর, একই বছরের ২রা আগস্ট তাঁকে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়৷ নিজামী একাত্তরে ‘আল-বদর' বাহিনীর প্রধান ছিলেন৷ ১৯৯১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তিনি শিল্পমন্ত্রী ছিলেন৷ আর এখন, তিনিই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নেতা৷

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘রিভিউ আবেদন খারিজের মধ্য দিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে৷ এখন কারা কর্তৃপক্ষ নিজামীকে আপিল বিভাগের আদেশ পড়ে শোনাবেন৷ তারপর সংবিধান অনুযায়ী নিজামী চাইলে প্রাণভিক্ষার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করতে পারেন৷''

রানা দাশগুপ্ত

তিনি জানান, ‘‘সাধারণ জেলকোড অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনের সময় সাতদিন হলেও ট্রাইব্যুনাল আইনে তা প্রযোজ্য নয়৷ এখানে যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করতে হবে৷ রাষ্ট্রপতি অবশ্য আবেদন গ্রহণ এবং প্রত্যাখ্যান দু'টোই করতে পারেন৷''

রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘রাষ্ট্রপতি আবেদন প্রত্যাখ্যান করলে সরকার যখন চাইবে তখনই ফাঁসি কার্যকর করতে পারবে৷ কারণ ফাঁসি কার্যকর করা সরকারের এখতিয়ারে পড়ে৷ জেল কোডে নিয়ম আছে ফাঁসির চূড়ান্ত আদেশের পর ২১ থেকে ২৭ দিনের মধ্যে ফাঁসি কার্যকর করতে হয়৷ কিন্তু জেলকোডের এই সাধারণ নিয়ম ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের জন্য প্রযোজ্য নয়৷''

প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালের ৩০শে জানুয়ারি চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় মতিউর রহমান নিজামীসহ ১৪ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয় আদালত৷ ২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল গভীর রাতে চিটাগাং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড বা সিইউএফএল জেটিঘাটে ধরা পড়ে ১০ ট্রাক অস্ত্র৷ নিজামী ঘটনার সময় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শিল্পমন্ত্রী ছিলেন৷ এই রায়ের ফলে মাবতাবিরোধী অপরাধসহ দু'টি মামলায় তাঁর ফাঁসির আদেশ হলো৷

আপনি কি নিজামীকে ফাঁসি দেয়ার পক্ষে? এ নিয়ে আপনার মতামত জানান, লিখুন নীচের ঘরে৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান