1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নারীর পোশাক যখন আন্দোলনকারীদের ঢাল

৬ মার্চ ২০২১

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপায় বের করতে হচ্ছে মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের৷ তারই একটি নারীদের পোশাকের ‘ব্যারিকেড’৷

https://p.dw.com/p/3qIV7
আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপায় বের করতে হচ্ছে মিয়ানমারের বিক্ষোভকারীদের৷ তারই একটি নারীদের পোশাকের ‘ব্যারিকেড’৷
ছবি: AFP

রাস্তার দুই পাশে ও মাঝখানে লাঠি দিয়ে দড়ি টানানো হয়েছে৷ তাতে ঝুলছে মেয়েদের লুঙ্গি কিংবা লং স্কার্ট৷ দেখে মনে হতে পারে সেগুলো রোদে শুকোতে দেয়া হয়েছে৷ না, বিষয়টি মোটেও তা নয়৷ মূলত সেনা সদস্য ও পুলিশের হামলা থেকে রক্ষা পাওয়ার ব্যবস্থা এটি৷ মেয়েদের কাপড় ডিঙিয়ে প্রতিবাদকারীদের উপর হামলা চালাতে আসছে না আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরাও৷ মিয়ানমারের ইয়াঙ্গনের কিছু জায়গায় দেখা গেছে এমনই চিত্র৷

মিয়ানমারে মেয়েদের পোশাকের নীচের অংশ পুরুষদের জন্য সম্মান ও ক্ষমতাহানিকর বলে মনে করা হয়৷ ‘‘দড়িতে (মেয়েদের) লুঙ্গি ঝুলিয়ে রাখা হলে পুলিশ আর রাস্তায় আসছে না৷ তারা কাপড় অতিক্রম করে আসতে পারে না৷ তাদেরকে সেগুলো নামিয়ে নিতে হয়,’’ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলছিলেন আন্দোলনকারীদের একজন থিনজার শুনলেই ই৷ দেশটিতে মেয়েদের পোশাক নিয়ে এমন কুসংস্কার এখন আন্দোলকারীদের জন্য রক্ষাকবচ৷

রাস্তায় লুঙ্গি টানিয়ে রাখার এসব ছবি ভাইরাল হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও৷ একটি ছবিতে একজন সৈনিককে ট্রাকের উপরে দাঁড়িয়ে লুঙ্গিগুলো সরিয়ে নিতেও দেখা গেছে৷

Myanmar Rangun | Protest gegen Militärputsch mit Longyi-Röcken
পুলিশ, সেনাবাহিনীর গাড়ি যাতে প্রতিবাদস্থলে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য রাস্তায় বালুর বস্তাও ফেলে রাখছেন আন্দোলনকারীরা৷ছবি: Theint Mon Soe/Zuma/imago images

দেশটির সামরিক প্রধান মিং অং হ্লাইং ছবি বা প্রতীকও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের জন্য ভীতিকর৷ কিছু লুঙ্গিতে তাই তার ছবি সেঁটে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা৷ এমনকি রাস্তায়ও সেনা প্রধানের পোস্টার ফেলে রাখা হয়েছে, যাতে সেগুলো মাড়িয়ে আন্দোলনকারীদের দমন করতে না আসে পুলিশ বা সেনাসদস্যরা৷

সামরিক অভ্যুত্থানের পর গোটা মিয়ানমারের চিত্র বদলে গেছে৷ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নির্বিচার হামলায় রক্ত ঝরছে প্রায় প্রতিদিনই৷ কিন্তু তাতেও দমে যাচ্ছেন না প্রতিবাদকারীরা৷ পুলিশ, সেনাবাহিনীর গাড়ি যাতে প্রতিবাদস্থলে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য রাস্তায় ইট, বালুর বস্তা, টায়ার, টেবিল, কাঁটাতার ফেলে রাখছেন তারা৷

আন্দোলনকারীদের মধ্যে কারো কারো দায়িত্ব শুধু পানি ভর্তি প্লাস্টিকের বোতল আর ভেজা তোয়ালে সরবরাহ করা, যাতে টিয়ার গ্যাসের জ্বালা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়৷ এমনকি জমায়েতের সামনে আয়না দিয়েও ঢাল তৈরি করছেন অনেকে, যাতে প্রতিবিম্ব দেখে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিভ্রান্ত হয়৷ ‘‘আমাদের মূল নীতি অহিংস...তারা যাতে অতর্কিত হামলা চালাতে না পারে সেই চেষ্টাই করছি আমরা,’’ বলেন থিনজার শুনলেই ই৷

তারপরও সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহিংস আচরণে জাতিসংঘের হিসাবে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক বিক্ষোভকারী প্রাণ হারিয়েছেন দেশটিতে৷

এফএস/এসিবি (এএফপি)

১ মার্চের ছবিঘর দেখুন...

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য