1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

নাভালনি মামলায় মুখ খুললেন ম্যার্কেল

৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

রাশিয়ার বিরুদ্ধে সরব হলেন জার্মান চ্যান্সেলর। অভিযোগ, পুটিন-বিরোধী রুশ রাজনীতিক নাভালনিকে বিষ দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্র হয়েছিল।

https://p.dw.com/p/3hvQf
ছবি: Reuters/T. Makeyeva

রাশিয়ার বিরুদ্ধে এ বার মুখ খুললেন জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুটিনের কাছে আলেক্সি নাভালনিকে বিষ দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্রের জবাবদিহি চাইল জার্মানি। বিষয়টি নিয়ে ইউরোপের কূটনৈতিক মঞ্চেও আলোচনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি।

Deutschland Merkel PK Navalny
ছবি: Getty Images/AFP/M. Schreiber

কিছু দিন আগে রাশিয়া থেকে জার্মানিতে চিকিৎসা করাতে আসেন ভ্লাদিমির পুটিনের সব চেয়ে বড় সমালোচক এবং রাশিয়ায় বিরোধী রাজনীতির নেতা । চিকিৎসকরা তখনই অনুমান করেছিলেন, নাভালনির শরীরে বিষ রয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, স্নায়ুর ক্ষতি হয়, এমন বিষ দেওয়া হয়েছে নাভালনিকে। সম্প্রতি জার্মান সেনার এক হাসপাতালে ফের নাভালনির শরীরে বিষের পরীক্ষা হয়। স্পষ্ট হয়, তাঁকে বিষ দিয়ে মারার চেষ্টা হয়েছিল। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন জার্মান চ্যান্সেলর। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছেন, নাভালনিকে যে হত্যার চেষ্টা হয়েছে, তার স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে। এ বার রাশিয়াকেই এর জবাব দিতে হবে। গোটা বিশ্বকে জানাতে হবে, কেন বিরোধী বিরোধী রাজনীতির মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল। বস্তুত, রাশিয়াকে অত্যন্ত কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন ম্যার্কেল। তাঁর বক্তব্য, কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, কারা ঘটালেন এই সমস্ত তথ্য বিশ্বকে জানাতে হবে। রাশিয়াকে সেই দায়িত্ব নিতে হবে।

এর আগেও জার্মানি নাভালনির উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিল। সূত্র জানাচ্ছে, বার্লিনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাসের রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছেন জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁর কাছেও বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হবে। ন্যাটো এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নেও জার্মানি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চাইবে বলে কূটনৈতিক সূত্রে জানানো হয়েছে। জার্মানি বিষয়টিকে সরাসরি হত্যার ষড়যন্ত্র বলে দাবি করবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে বিষ থাকলেও নাভালনির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। রাশিয়ায় পুটিনের সব চেয়ে বড় সমালোচক নাভালনি। পুটিনের বিরুদ্ধে জনমতও তৈরি করতে পেরেছেন তিনি। সে কারণেই তাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছিল বলে বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, ডিপিএ)