নানিয়ারচরে হামলার নিন্দা টুইটার, ফেসবুকে
২৪ ডিসেম্বর ২০১৪গত কয়েকদিন ধরেই ডয়চে ভেলের ফেসবুক পাতায় মন্তব্য করে যাচ্ছেন আরিয়া বড়ুয়া৷ তিনি লিখেছেন, ‘‘আপনি খবর রাখেন কি? নানিয়ারচরে সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার মানুষগুলা শীতকালে খোলা আকাশের নীচে কিভাবে দিনযাপন করছে? কেউ কি তাদের সহায়তা প্রদান করছে?''
বড়ুয়ার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা যায় তিনি চট্টগ্রামের বাসিন্দা৷ বৌদ্ধদের একটি সংঘের সঙ্গেও যুক্ত তিনি৷ বড়ুয়া আদতে ‘আমরা’ নামক একটি সংগঠনের ফেসবুক পাতা থেকে এই বার্তাটি নিয়ে ডিডাব্লিউ-র পাতায় পোস্ট করেছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, ‘‘আবারও সাম্প্রদায়িক হামলার শিকার হলো আমার দেশেরই কিছু মানুষ৷ পৌষমাসের শীতে বাড়িঘর হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে থাকতে বাধ্য হলো তারা৷ সবচেয়ে দুঃখজনক ব্যাপার হলো, ঘটনাটা ঘটল মহান বিজয় দিবসে৷''
বড়ুয়া রাঙামাটিতে এই হামলার পেছনে ‘‘সেটেলার বাঙালিদের'' হাত রয়েছে বলে জানিয়েছেন৷ ‘‘বিজয়ের দিন ১৬ই ডিসেম্বরে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ মদদে সেটেলার বাঙালি কতৃক নানিয়াচর উপজেলার, বগাছড়ি ইউনিয়নের তিনটি গ্রামের সাধারণ পাহাড়ীদের বসতবাড়ি, দোকানপাট ও বৌদ্ধ মন্দিরে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে প্রায় ৬০টি বসতবাড়ি, দোকানপাট ও বৌদ্ধমন্দির ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়৷ সেই ঘটনার ক্ষতিগ্রস্থরা এই শীতের সময়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে৷''
প্রসঙ্গত, হামলাকারীরা বাড়িঘর পোড়ানো ছাড়াও এক বৌদ্ধ ভিক্ষু ও দুইজন পাহাড়িকে মারধর করেছে৷ একটি বৌদ্ধ বিহারের বুদ্ধমূর্তি ভাঙচুর ও পাঁচটি পিতলের বুদ্ধমূর্তি লুট করেছে৷ টুইটারে হামলার তথ্য এবং কয়েকটি ছবি রয়েছে৷
উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিরতা বিরাজ করছে৷ আওয়ামী লীগ সরকার ১৯৯৭ সালে পার্বত্য শান্তি চুক্তি করলেও কার্যত এখনো শান্তি ফেরেনি সেখানে৷
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ