ন'বছরের মেয়ের চমক
২৫ জুলাই ২০১৭একমাত্র জীবনই এ ধরনের রূপকথা রচনা করতে পারে৷ ঠিক এক সপ্তাহ আগে ‘গার্ল অন ফায়ার' গেয়ে বিচারক ক্রিস হার্ডউইক-এর কাছ থেকে ‘গোল্ডেন বাজার' পায় অ্যাঞ্জেলিকা৷ যাঁরা সেই পার্ফর্মেন্স এখনও দেখেননি, অথবা যাঁরা অ্যাঞ্জেলিকার জীবনসংগ্রাম সম্পর্কে কিছু জানেন না – তাঁদের জন্যই এই ভাইরাল ভিডিও৷
ভাইরাল তো বটেই – পোস্ট করার প্রথম পাঁচ দিনে দেখেছেন ৬০ লাখ দর্শক৷ কিন্তু তাঁদের দেখার – বা শোনার কারণটা শুধু এই ন'বছরের মেয়েটির আশ্চর্যরকম জোরালো কণ্ঠ নয় – সাধে কি আর সে বলেছে যে, সে ভবিষ্যতে হুইটনি হিউস্টন হবার আশা রাখে৷ ওদিকে মঙ্গলবার ‘গার্ল অন ফায়ার' গাইবার আগে অ্যাঞ্জেলিকা আরেক বিচারক, জার্মানির প্রখ্যাত মডেল হাইডি ক্লুমকে বলে, সে নাকি আগেরবারের চেয়ে একটু বেশি নার্ভাস!
কে এই মেয়ে? কী তার পটভূমি? চার বছর বয়সে ডাবল নিউমোনিয়া হয়ে প্রাণ যেতে বসেছিল তার; শরীরে সেপটিক হয়ে নষ্ট হয়ে যায় কিডনি৷ অ্যাটলান্টার হাসপাতালে হার্ট অ্যান্ড লাং বাইপাস দিয়ে তাকে বাঁচিয়ে রাখা হয়৷ আইসিইউ-তে কাটে বেশ কয়েক সপ্তাহ, হাসপাতালে সব মিলিয়ে ৮০ দিন৷
শুরু হয় অ্যাঞ্জেলিকাকে কিডনি দিতে পারে, এমন কোনো ‘ডোনার'-এর খোঁজ৷ অ্যাঞ্জেলিকার ক্ষেত্রে বেশিদূর খুঁজতে হয়নি – অ্যাঞ্জেলিকাকে যিনি পৃথিবীর আলো দেখিয়েছিলেন, দেখা যায় সেই মহিলাই হলেন তার পার্ফেক্ট ম্যাচ৷ হ্যাঁ, আর কেউ নন – অ্যাঞ্জেলিকার মা৷
আর গান? অ্যাঞ্জেলিকা দু'বছর বয়স থেকে বাবা-মায়ের গাড়িতে গান গায়৷ আজ না হয় গোটা অ্যামেরিকা আর আধা বিশ্ব তাকে নিয়ে উত্তাল৷
কথায় বলে: ট্যালেন্ট শো৷ মনে হলো: জীবন যেন তার নিজের ট্যালেন্ট প্রদর্শন করছে, বলছে, আশা ছেড়ো না, দ্যাখোই না কী হয়...!
এসি/ডিজি