বিদেশিদের ওপর হামলা বেড়েছে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬জার্মানির বাম দলের রাজনীতিবিদ পেট্রা পাও সম্প্রতি এই তথ্য প্রকাশ করেছেন৷ প্রতিমাসে তিনি সরকারের কাছে ডানপন্থিদের বিভিন্ন হামলা সম্পর্কিত তথ্য জানার আবেদন করেন৷ সরকারই তাঁকে এই তথ্য সরবরাহ করে৷
সাধারণত প্রতিবছর মে মাসে সরকারিভাবে এ সব তথ্য প্রকাশ করা হয়৷ ২০১৬ সালের মে মাসে যখন সরকার ২০১৫ সালের তথ্য প্রকাশ করবে তখন বিদেশিদের উপর সহিংসতার সংখ্যাটি ৬১২ থেকে আরও বেড়ে যেতে পারে৷ কারণ পুলিশ এখনও বেশ কিছু সহিংসতার ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে৷ এর মধ্যে কিছু ঘটনা অবশেষে বিদেশিদের লক্ষ্য করে হামলা বলে বিবেচিত হতে পারে৷
রাজনীতিবিদ পেট্রা পাও-এর ধারণা এমনই৷ তিনি মনে করেন, প্রাথমিক যে হিসাব দেয়া হয়েছে, মে মাসে যখন পুরো পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে তখন সংখ্যাটি প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে৷ প্রাথমিক ঐ হিসাবে বিদেশিদের উপর হামলা ছাড়াও সমকামী, গৃহহীন মানুষ, এমনকি সাংবাদিকদের উপর জার্মানির চরম ডানপন্থিদের হামলার ঘটনাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷ এতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৫ সালে সব মিলিয়ে সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে ৯২১টি৷ আর সহিংস ও অসহিংস মিলে অপরাধের সংখ্যা ১৩,৮৪৬৷
২০১৬ সালে চরম ডানপন্থিদের দ্বারা অপরাধ সংঘটনের সংখ্যা না কমে আরও বাড়বে বলে মনে করেন টিমো রাইনফ্রাংক৷ তিনি চরমপন্থা-বিরোধী সংস্থা ‘আমাদেউ-আন্টোনিও-ফাউন্ডেশন'-এ কাজ করেন৷ পরিসংখ্যানও সেরকমই আভাষ দিচ্ছে৷ জানুয়ারি মাসেই শরণার্থী ও তাদের যারা সহায়তা করছে তাদের উপর ২৬টি সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ এছাড়া শরণার্থীদের আবাস লক্ষ্য করে ২১ বার আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে৷
পেট্রা পাও ডয়চে ভেলেকে বলেন, ইসলামবিরোধী পেগিডা আর ডানপন্থি রাজনৈতিক দল ‘অল্টারনেটিভ ফর জার্মানি' বা এএফডির কার্যক্রম যেভাবে বাড়ছে, তাতে ভবিষ্যতে এ ধরণের হামলার কমার কোনো সম্ভাবনা নেই৷
এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে তিনি গণতন্ত্রে বিশ্বাসীদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সক্রিয় সদস্য হয়ে এ সবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান৷
আপনার কী মনে হয়? জার্মানিতে বিদেশিবিদ্বেষ বাড়ার কারণ কী? জানান নীচের ঘরে৷