1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

দু'শো কোটি মানুষ ‘‘গোপন ক্ষুধায়'' পীড়িত

১৪ অক্টোবর ২০১৪

২০১৪ সালের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই), অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার পরিমাপে দেখা গেছে যে, ১৯৯০ সাল যাবৎ উন্নয়নশীল দেশগুলিতে ক্ষুধার প্রকোপ প্রায় ৪০ শতাংশ কমলেও, ‘মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস' অপুষ্টি আজও ব্যাপক৷

https://p.dw.com/p/1DVHX
Infografik Welthunger-Index 2014 Indikatoren Portugiesisch

ক্ষুধা বলতে যেমন অন্নাভাব, তেমনি অপুষ্টি৷ কাজেই সর্বাধুনিক বিশ্ব ক্ষুধা পরিমাপকে সুখবর না দুঃস্বপ্ন বলা উচিত, সে বিষয়ে ভাষ্যকাররা একমত নন৷ পৃথিবীর প্রতি দশম নাগরিক ক্ষুধিত; প্রতি দশ সেকেন্ডে একটি করে শিশুর মৃত্যু ঘটছে ক্ষুধা ও অপুষ্টির কারণে৷ তা সত্ত্বেও বলতে হয় যে, বিশ্বব্যাপী ক্ষুধার বিরুদ্ধে সংগ্রামে প্রগতি ঘটেছে৷

সারা বিশ্বে ৮০ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের পর্যাপ্ত খাদ্য নেই৷ ১৬টি দেশের ‘‘ক্ষুধা'' পরিস্থিতি ‘‘গুরুতর'' কিংবা ‘‘উদ্বেগজনক''৷ সেই সঙ্গে রয়েছে ‘হিডেন হাঙ্গার', গোপন ক্ষুধা, যা চোখে পড়ে না – এক কথায়, অপুষ্টি, বিশেষ করে ভিটামিন এবং মিনারালের ক্ষেত্রে, সেই সব মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট, যা না থাকলে মানুষের বৃদ্ধি থেকে বুদ্ধি, সব কিছু প্রভাবিত হতে পারে৷

মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অপুষ্টি

শুধু পর্যাপ্ত পরিমাণ খাদ্য পেলেই চলবে না, সেই সঙ্গে অতি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টিকর পদার্থগুলি গ্রহণ করতে হবে৷ নয়ত নাগরিকদের উৎপাদনক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে, যার ফলে দেশের অর্থনীতির হানি ঘটতে পারে৷ বলতে কি, ‘‘গোপন ক্ষুধা'' একদিকে ধনি দেশ অথবা দরিদ্র দেশ, অন্যদিকে ধনি-দরিদ্রের মধ্যে ভেদাভেদ করে না: উন্নয়নশীল বিশ্বের বহু দেশ আজকাল অপুষ্টি, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট-এর অভাব এবং মেদবাহুল্য, এই তিনটি বিপদের বিরুদ্ধে লড়ছে; অপরদিকে পশ্চিমের ধনি দেশগুলিতেও অনেক মেদবহুল শিশু ও ব্যক্তি ‘‘গোপন ক্ষুধায়'' ভুগছে৷

Symbolbild Sierra Leone Hunger
শিশুরাই সবচেয়ে বেশি অপুষ্টির শিকারছবি: picture-alliance/dpa

তবে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট অপুষ্টির মূল শিকার হচ্ছে উন্নয়নশীল বিশ্বের সেই আনুমানিক ১১ লাখ শিশু, যারা প্রতিবছর শুধুমাত্র অপুষ্টির কারণে প্রাণ হারাচ্ছে৷ প্রতিবছর প্রায় এক কোটি ৮০ লক্ষ শিশু মস্তিষ্কের ত্রুটি নিয়ে জন্মাচ্ছে আয়োডিন ডেফিসিয়েন্সির কারণে৷ মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ডেফিসিয়েন্সি রোখার জন্য ‘‘বায়োফোর্টিফায়েড'' খাদ্য গ্রহণ করা যেতে পারে; আবার শিশুদের ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট দেওয়া যেতে পারে৷

Infografik Welthunger-Index 2014 Übersichtskarte Portugiesisch
সারা বিশ্বে ৮০ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষের পর্যাপ্ত খাদ্য নেই

জিএইচআই স্কোরে দক্ষিণ এশিয়া

সর্বাধুনিক বিশ্ব ক্ষুধা পরিমাপ রিপোর্ট থেকে দেখা যাচ্ছে যে, ক্ষুধাত্রাণের ক্ষেত্রে এশিয়ার দেশগুলি লক্ষণীয় প্রগতি করেছে৷ দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে ক্ষুধার পরিমাণ কমেছে ১২ পয়েন্ট, যা কিনা এশিয়ায় বৃহত্তম হ্রাস৷ বাংলাদেশে এনজিও-গুলির তৎপরতায় এবং সরকারি কর্মসূচির ফলে সমাজের দরিদ্রতম স্তরে শিশু অপুষ্টি অনেকটা হ্রাস পেয়েছে৷ বাংলাদেশ শিশুদের পুষ্টি নিয়মিতভাবে মনিটর করে থাকে৷ ১৯৯০ সালে বাংলাদেশে বয়সের তুলনায় কম ওজনের শিশুদের অনুপাত ছিল ৬২ শতাংশ, ২০১১ সলে যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৭ শতাংশে৷

ভারতেও পাঁচ বছরের কম বয়সের শিশুদের মধ্যে যাদের ওজন বয়সের তুলনায় কম, তাদের অনুপাত কমেছে গত ন'বছরে প্রায় ১৩ শতাংশ৷ ভারতের সামগ্রিক জিএইচআই স্কোরও ২৬ শতাংশ কমেছে৷ ‘‘ক্ষুধার'' পরিমাপে ভারতের পরিস্থিতিকে ‘‘উদ্বেগজনক'' থেকে ‘‘আন্তরিক''-এ নামিয়ে আনা হয়েছে৷ ভারত এখন ৭৬টি দেশের মধ্যে ৫৫ স্থানে – বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু নেপাল ও শ্রীলঙ্কার থেকে পিছনে৷

এসি/ডিজি (ডিপিএ, পিটিআই, ডাব্লিউএইচএইচ)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য