‘দড়ি টানাটানি’
২৪ অক্টোবর ২০১২সামনে সাধারণ নির্বাচন৷ তার মুখে রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে যেভাবে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে, তাতে কোনো দলই স্বস্তিতে নেই৷ নিজেদের ভাবমূর্তি বাঁচাতে বিরুদ্ধ দলকে কাত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছে সকলেই৷ এরই মধ্যে হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস প্রধান বীরভদ্র সিং-এর বিরুদ্ধে একটি ইস্পাত কোম্পানির কাছ থেকে উৎকোচ নেবার অভিযোগ সামনে এসেছে৷
সেই অভিযোগ ধামাচাপা দিতে তিনি নাকি আয়করের হিসাবে হেরাফেরি করেছেন৷ ২০১০ সালে ঐ কোম্পানির অফিস তল্লাসি করে যে সব কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়, তা থেকেই এই তথ্য জানা যায়৷ বীরভদ্র সিং, এককালে যিনি হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি জনৈক ব্যক্তিকে তাঁর আপেল বাগান ইজারা দিয়েছিলেন বার্ষিক সাড়ে দশ লাখ টাকায়৷ সেটাই কাগজে কলমে দেখানো হয়েছিল৷ অথচ আসলে দেয়া হয়েছিল সাড়ে ছয় কোটি টাকায়৷ সংবাদ মাধ্যমগুলি তাঁকে এ নিয়ে প্রশ্ন করায় তিনি তাদের হুমকি দেন৷ বলেন অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন৷
এই ধরণের প্রতিক্রিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করা হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে৷ তিনি একজন বয়োবৃদ্ধ কংগ্রেস নেতা৷ রাগের মাথায় বলে ফেলেছেন৷
অন্যদিকে, বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ক্রমশই জল ঘোলা হচ্ছে৷ আরো একটি অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশনের নেতা প্রশান্ত ভূষণের অভিযোগ, গড়কড়ি নাকি ১৯৯৫-৯৯ সালে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-বিজেপি সরকারের আমলে পিডাব্লিউডি'র মন্ত্রী থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক কোম্পানিকে সুবিধা দেন৷ বিনিময়ে সেই কোম্পানি বিজেপি সভাপতি নিতিন গডকড়ির বিদ্যুৎ ও চিনি কোম্পানিতে ঋণ দেয় প্রায় ১৬৪ কোটি টাকা৷
এদিকে, কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিং বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁর ব্যবসাপত্রে অনিয়মের তদন্ত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন৷ বিজেপি বলেছে তদন্তে আপত্তি নেই, কিন্তু কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তদন্ত করবে কে?আর মোদ্দা কথাটি বলেছেন ইন্ডিয়া এগেনস্ট করাপশনের নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল৷ তিনি বলেছেন, আসলে কংগ্রেস ও বিজেপি তলায় তলায় হাত মিলিয়েছে৷ কাঁচের ঘরে বাস করে একে অন্যকে ঢিল মারবে না৷ তদন্তের প্রশ্ন তাই গভীর জলে৷