দুদকের মামলায় ডেসটিনির রফিকুলের ৩ বছরের সাজা
২৮ জানুয়ারি ২০২০ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শামীম আহাম্মাদ মঙ্গলবার রফিকুলকে এ সাজা দেন বলে জানায় ডয়চে ভেলের কন্টেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম৷ তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি রফিকুলকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছে৷ জরিমানার টাকা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে জমা দিতে হবে৷
তবে কারাদণ্ড হলেও রফিকুলকে সাজা খাটতে হবে না৷ কারণ, ২০১২ সাল থেকে তিনি কারাগারে আছেন এবং নিয়মানুযায়ী কারাদণ্ড থেকে হাজতবাসকালীন সময় বাদ যাবে৷ কিন্তু মুদ্রা পাচারের আরও দুটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় আপাতত তার মুক্তিও মিলছে না৷
রফিকুলের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘সাজা খাটতে না হলেও এই রায়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে৷ আমরা এর বিরুদ্ধে আপিল করব৷''
প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আমীন এবং ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে কলাবাগান থানায় আলাদা দুটি মামলা করে দুদক৷
তারা ওই বছর ১১ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেজামিন চাইলে আদালত তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন৷
ওই দুই মামলার তদন্ত চলার মধ্যেই প্রাথমিক অনুসন্ধানের ভিত্তিতে রফিকুল আমিনের ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত' ১৮ কোটি ২ লাখ ২৯ হাজার ৩২৩ টাকার সম্পদের হিসাব চেয়ে ২০১৬ সালের ১৬ জুন নোটিস দেয় দুদক৷ সাত দিনের মধ্যে তাকে তথ্য বিবরণী জমা দিতে বলা হয়৷
কারাবন্দি রফিকুল সময়ের আবেদন করলে তাকে আরও সাত দিন সময় দেওয়া হয়৷ এরপরও সম্পদের তথ্য বিবরণী না দেওয়ায় ২০১৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর রমনা থানায় এই মামলা করে দুদক৷
২০১৭ সালের ৬ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এ মামলার অভিযোগপত্র জমা পড়ে৷ পরের বছরের ১২ মার্চ অভিযোগ গঠন করে এ মামলায় রফিকুলের বিচার শুরু হয়৷
এ মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন নিয়ে হাই কোর্টেও গিয়েছিলেন রফিকুলের আইনজীবীরা৷ ২০১৮ সালে ১৮ অগাস্ট হাই কোর্ট তাদের আবেদন সরাসরি খারিজ করে দেন৷
দুদকের অন্যতম কৌঁসুলি মাহমুদ হাসান জাহাঙ্গীর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৫ জনের সাক্ষ্য শুনে এ মামলার রায় দিয়েছে আদালত৷
এসএনএল/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)