জামিন পাননি ডেসটিনির চেয়ারম্যান-এমডি
১৭ ডিসেম্বর ২০১৯ডেসটিনির দুই কর্ণধার রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন জামিন পাননি৷ এর ফলে জেলেই থাকতে হবে তাদেরকে৷ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারকের আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দিয়েছে৷
বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের কনটেন্ট পার্টনার বিডিনিউজ টোয়ান্টিফোর ডটকম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জামিনের জন্য ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর তাদেরকে দুইটি শর্ত দিয়েছিল আপিল বিভাগ৷ ডেসটিনির ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রকল্পের গাছ বিক্রি করে অথবা অন্য কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ২৫০০ কোটি টাকা পরিশোধ করতে বলা হয় তাদেরকে৷
২০১৭ সালে তারা এই শর্ত পরিবর্তনের জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন যা আদালত খারিজ করে দেয়৷ শর্ত পূরণ না করেই আবারও তারা জামিন আবেদন করেছিলেন৷ দুদকের পক্ষের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোরকে বলেন, ‘‘শর্ত পূরণ না করে এখন তারা আবার জামিন চাইলেন৷ আমরা তার বিরোধিতা করেছি৷ আদালত জামিন আবেদন খারিজ করেছে৷’’
উল্লেখ্য ২০১২ সালের ৩১ জুলাই ডেসটিনি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করে দুদক৷ ২০১৪ সালের ৫ মে দেয়া হয় অভিযোগপত্র৷ দুইটি মামলায় মোট ৬৫ জনকে আসামি করা হয়৷ আসামিদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির এমডি মো. রফিকুল আমীন, ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. দিদারুল আলম ও মো. জিয়াউল হক মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়৷
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ট্রি প্ল্যান্টেশন প্রকল্পের মাধ্যমে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার ৪৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে৷ এর মধ্যে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়৷ যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হন সাড়ে ১৭ লাখ বিনিয়োগকারী৷
অন্যদিকে মাল্টি পারপাস কো-অপারেটিভ প্রকল্পের নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল, যার ১ হাজার ৮৬১ কোটি টাকাই আত্মসাৎ করা হয়৷ এর ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন সাড়ে ৮ লাখ বিনিয়োগকারী৷
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আসামিরা প্রকল্পের টাকা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে জমা করে পরে তা বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে স্থানান্তর করতেন৷ ৩৪ টি ব্যাংকে এমন ৭২২ টি হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুদক৷
উল্লেখ্য ২০০০ সালে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড নামে যাত্রা শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির৷ সেসময় তাদের ব্যবসা ছিল মাল্টিলেভেল মার্কেটিং৷ এক দশকের মধ্যে গ্রুপটি বিমান পরিবহন, আবাসন, কোল্ডস্টোরেজ, জুট মিল, মিডিয়া, বনায়নসহ বিভিন্ন খাতে ৩৪টি কোম্পানি খোলে৷ বান্দরবানে ৮৩৫ একর জমিতে তাদের ৩৪টি বাগান রয়েছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে৷
এফএস/কেএম (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)