দলীয় প্রতীকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন
৭ ডিসেম্বর ২০১৫আগামী ৩০শে ডিসেম্বর দেশের ৩২০টি পৌরসভার মধ্যে ২৩৪টির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রায় সব পৌরসভায় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে প্রার্থী দিয়েছে৷ তবে বিএনপির ১০ জন এবং আওয়ামী লীগের তিনজন মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়েছে৷ আর সব মিলিয়ে মেয়র পদে ১৬৬ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল হয়েছে৷ এরা প্রধানত স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থী৷
প্রসঙ্গত, মেয়র পদে মোট ১২২৩ জন মনোনয়পত্র দাখিল করেছিলেন৷
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৫৭১ এবং নারীদের সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৫৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে৷
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের পর, আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি এই প্রথম দলীয় প্রতীক নিয়ে কোনো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে৷ বলা বাহুল্য, ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি জোট৷ এরপর উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি দলীয়ভাবে তাদের প্রার্থীদের সমর্থন দেয়৷ তবে সেই নির্বাচন দলীয় ভিত্তিতে বা দলীয় প্রতীকে ছিল না৷ তাছাড়া ঢাকাসহ তিন সিটির নির্বাচন শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তা বর্জন করে বিএনপি৷
স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিষদ (জানিপপ)-এর প্রধান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘দলীয়ভাবে এই নির্বাচন তৃণমূল পর্যায়ে রাজনৈতিক দলগুলোর জবাবদিহিতা বাড়াবে৷ শুধু তাই নয়, নির্বাচিতরা দলের কাছে জবাবদিহি করতেও বাধ্য হবে৷ ফলে দেশের পুরো নির্বাচনই রাজনৈতিক জবাবদিহিতার মধ্যে এসে যাচ্ছে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারো সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনের ধারায় ফিরে এলো, যা ইতিবাচক৷''
তিনি নির্বাচনের পবিবেশ এবং আচরণবিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এ পর্যন্ত নেয়া পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন৷ তাঁর কথায়, ‘‘ইলেকশন কমিশন বা ইসি কোনো দলের কথা না শুনে তাদের মতো এগোচ্ছে৷''
তবে সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের নির্বাচনের জন্য কুলা, ঢেকি বা চকলেটের মতো প্রতীক নির্ধারণের সমালোচনা করেন ড. কলিমুল্লাহ৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশনকে ‘জেন্ডার' নিয়ে আরো সচেতন হতে হবে৷ হতে হবে জেন্ডার নিরপেক্ষ৷''