দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র
২২ জুলাই ২০০৯ট্রিটি অন অ্যামিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন বা টিএসি, থাইল্যান্ডের ফুকেটে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার এই চুক্তি সাক্ষর করে হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ফিরে এসেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা এবং আমি মনে করি, এ অঞ্চল বৈশ্বিক উন্নয়ন, শান্তি এবং উন্নতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ৷' এ কথা বলে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ফার্স্টলেডি মনে করিয়ে দিলেন বুশ সরকারের কথা, সে আমলে যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি সাক্ষরে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল৷ হিলারি ক্লিন্টন এই চুক্তিতে সাক্ষর এবং অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্স বা আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে ফুকেটে এসেছেন৷ সম্মেলনে যে বিষয়গুলো গুরুত্ব পাওয়ার কথা সেগুলো নিয়ে মিসেস ক্লিনটনও সরাসরি কিছু মন্তব্য করেন৷ বেশি সোচ্চার ছিলেন মিয়ানমার এবং উত্তর কোরিয়া প্রসঙ্গে৷ বুধবার আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দিতে আসা চীন, রাশিয়া, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ বৈঠকের পর তিনি মিয়ানমারের সামরিক সরকারের প্রতি নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সুচিসহ সব রাজনৈতিক বন্দিকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানান৷ এ সময় তিনি বলেন, সুচিকে মুক্তি দিলে মিয়ানমার-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভালো হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে, এ ছাড়া সে দেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের পথও খুলে যাবে৷ প্রসঙ্গত, সুচি এবং অন্যান্য রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি না দেয়ায় মিয়ানমারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ ওদিকে উত্তরকোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্র তৈরি এবং সে দেশের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন হিলারি ক্লিনটন৷ উত্তর কোরিয়ার পারমানবিক অস্ত্র তৈরির কৌশল মিয়ানমারে পাচার হতে পারে, এমন একটি আশঙ্কা নিয়ে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ সঙ্গে আরো বলেন উত্তর কোরিয়ার উচিত পরমানু কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া৷ তা না হলে তাদের একঘরে হওয়া এবং আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে হতে পারে৷
প্রতিবেদক: আশীষ চক্রবর্ত্তী
সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার