1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারতের কাছে অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র

২১ জুলাই ২০০৯

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ভারত সফর শেষে যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারত ঘোষণা করেছে, দুই দেশ একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরে একমত হয়েছে৷ চুক্তির ফলে ভারতের কাছে যুক্তরাষ্ট্র অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রি করতে পারবে৷

https://p.dw.com/p/Iufb
ভারত সফরে হিলারি ক্লিনটনছবি: AP

একই সঙ্গে ভারত তাদের দেশে দুটি মার্কিন কোম্পানির দু দুটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে প্রস্তাবিত স্থানের অনুমোদন দিয়েছে৷

ভারত সফর শেষ করে হিলারি ক্লিনটন এখন রয়েছেন থাই রাজধানী ব্যাংককে৷ এশিয়া সফরের প্রথমেই ভারত সফরে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে৷ এই আলোচনার এক পর্যায়েই যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরে একমত হয়৷ এই প্রতিরক্ষা চুক্তিটির ফলে ভারতে যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক অস্ত্র বিক্রির পথে একটি বড় ধরণের পদক্ষেপ৷ এন্ড-ইউজ মনিটরিং বা ভোক্তা পর্যবেক্ষণ নামক এ প্রতিরক্ষা চুক্তির আওতায় ওয়াশিংটন ভারতের যে কোনও অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টিতে নজর রাখতেও পারবে৷

নতুন দিল্লিতে যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে বেশ জোরের সঙ্গেই কথা বললেন হিলারি, আমরা কেবল আমাদের সুন্দর সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারেই যে কেবল কাজ করবো তাই নয়, আমরা কি করে একে আরও গভীর এবং দীর্ঘস্থায়ী করা যায় তা নিয়েও চেষ্টা চালিয়ে যাবো৷

শনিবার ভারত সফরে যান হিলারি৷ এই সফরকালে প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে ঐকমত্য হওয়ার বিষয়ে দুই পক্ষই প্রস্তুত ছিল৷ যুক্তরাষ্ট্রের আইনের আওতায় এ ধরণের চুক্তি ভারতে অস্ত্র বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয়৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১২৬ মাল্টি-রোল ফাইটার কেনার পরিকল্পনা করেছে ভারত ৷ ১০ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারের এই চুক্তিটি হবে বিশ্বের অন্যতম বড় ধরণের অস্ত্র চুক্তি৷ তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের লকহিড মার্টিন কর্পোরেশন এবং বোয়িং কোম্পানির জন্যও এটি লাভজনক হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে৷ আগামী ৫ বছরে সেনাবাহিনীর আধুনিকায়নে ৩০ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনার আওতায় ভারত এ অস্ত্রচুক্তি করছে৷ এ বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী এস এম কৃষ্না বলেন, আমরা দুই পক্ষই 'এন্ড-ইউজ মনিটরিং' নামক এ অস্ত্র চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছি৷ এর ফলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষার কারিগরি এবং যন্ত্রাংশ কেনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়া যাবে৷

সাংবাদিক সম্মেলনে হিলারি জানিয়েছেন, গত বছরে স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তির ধারাবাহিকতায় ভারত দুটি মার্কিন কোম্পানি তাদের দেশে দু দুটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে প্রস্তাবিত স্থানের অনুমোদন দিয়েছে৷ ফলে ভারতে পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শিগগিরই শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে৷

এই সফরকালে আগামী নভেম্বরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর যুক্তরাষ্ট্র সফর চুড়ান্ত করা হয়৷

ভারতে থেকে থাইল্যান্ড যান হিলারি৷সেখানে তিনি মিয়ানমারের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য অন্ত্র চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন৷

প্রতিবেদক: সাগর সরওয়ার

সম্পাদনা: আবদুস সাত্তার