1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ত্রিপুরায় সিপিএমের বহু অফিসে আগুন, অভিযুক্ত বিজেপি

১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১

ত্রিপুরায় সহিংসতা। সিপিএমের একের পর এক অফিসে আগুন। অভিযুক্ত বিজেপি। তৃণমূলের মিছিল বুধবার। উত্তেজনা।

https://p.dw.com/p/40FZA
প্রতীকী ছবি। ছবি: DW/P. Mani Tiwari

দিন কয়েক আগে অশান্ত হয়ে ওঠে ত্রিপুরা। সিপিএমের একের পর এক অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। জ্বালিয়ে দেয়া হয় বহু গাড়ি। আক্রান্ত হয় সংবাদপত্রের অফিসও। সিপিএমের সদরদফতরও বাদ যায়নি। দশরথ ভবন, ভানু ভবন সহ একের পর এক সিপিএম অফিসে আগুন লাগানো হয়। 

আগে আগরতলায় একটা সংঘর্ষ হয়েছিল সিপিএম ও বামেদের মধ্যে। তার প্রতিবাদে বিজেপি প্রতিবাদ জানাচ্ছিল। সেখান থেকেই সহিংসতা ছড়ায়। কিন্তু বিরোধী দলের একের পর এক অফিস পুড়িয়ে দেয়ার ঘটনা গণতন্ত্রে মারাত্মক বলে মনে করা হয়। এভাবে এতগুলি অফিস ও বহু গাড়ি পুড়িয়ে দেয়ার পর ত্রিপুরায় রাজনৈতিক উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। সিপিএম নিয়মিত এর প্রতিবাদে মিছিল করছে। 

বিজেপি-র সঙ্গে বামেদের সংঘর্ষে বেশ কিছু দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া বিশালগড়েও সিপিএমের দুইটি পার্টি অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্যের বাড়িতে হামলা করা হয়। অভিযোগের আঙুল বিজেপি-র দিকে।

আর বিজেপি-র অভিযোগ, সিপিএমই সহিংসতা করছে। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারই সহিংসতায় ইন্ধন জোগাচ্ছেন বলে তাদের অভিযোগ।

এর আগে ত্রিপুরায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি-র সংঘাত হয়ছিল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়িও আক্রান্ত হয়।  গাড়িতে  লাঠিপেটা করা হয়েছে। তখনো অভিযোগের আঙুল উঠেছিল বিজেপি-র দিকে।

কেন এই সহিসংতা?

ত্রিপুরায় কেন এই রাজনৈতিক সহিংসতা হচ্ছে? আগামী ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট। তার আগে ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ত্রিপুরা। প্রবীণ সাংবাদিক আশিস গুপ্ত মনে করেন, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় বামেদের অবস্থা আলাদা। ডয়চে ভেলেকে আশিস বলেছেন, ''পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা হারানোর পর সিপিএম তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। এবার তারা একট আসনেও জেতেনি। কিন্তু ত্রিপুরায় তারা প্রথম থেকেই আন্দোলন করছে। এখনই নিরপেক্ষ ভোট হলে বামেরা হইহই করে জিতে আসলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।'' আশিসের মতে, এখানেই সিঁদুরে মেঘ দেখছে বিজেপি।

আরেক প্রবীণ সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র মনে করেন, ''ভারতের কয়েকটি রাজ্যে এখন একটা অদ্ভুত রাজনৈতিক সহিংসতা দেখা যাচ্ছে।'' ডয়চে ভেলেকে শুভাশিস বলেছেন, ''ক্ষমতাসীন দল সেখানে বিরোধীদের কোনো স্পেস দিতে রাজি নয়। ক্ষমতা ধরে রাখার স্বার্থে তারা এতটাই মরিয়া যে নজিরবিহীন সহিংসতা হচ্ছে। ত্রিপুরাতেও একই জিনিস দেখা যাচ্ছে। সহিংসতার পথে গিয়ে বিরোধীদের ঠেকানোর চেষ্টা হচ্ছে।''

তৃণমূল ফ্যাক্টর

আশিসের বক্তব্য, ''এখনো পর্যন্ত ত্রিপুরাতে তৃণমূল বড় প্লেয়ার নয়। বিরোধী দলের ক্ষেত্রে সিপিএমের নেতৃত্বাধীন বামেরা এক নম্বরে আছে। তৃণমূল এখন সেখানে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু তাদের সেখানে কোনো সংগঠন নেই।'' 

শুভাশিস মনে করেন, তৃণমূল চেষ্টা করছে বিরোধীদের জায়গা দখলের। বিজেপি-র সঙ্গে তাদেরও মারামারি হয়েছে। সিপিএমের সঙ্গেও হলো। বিরোধী ভোট ভাগ হলে বিজেপি লভবান হবে। সব রাজ্যেই বিরোধী ভোট ভাগ করার চেষ্টা বিজেপি করে থাকে।

অভিষেকের মিছিল

ত্রিপুরায় মিছিল করতে চেয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাকে সেই অনুমতি দেয়া হয়নি। তা সত্ত্বেও তিনি মিছিল করতে বদ্ধপরিকর। তিনি ত্রিপুরা যাচ্ছেন। মিছিলও করতে চাইবেন। ফলে বুধবারও ত্রিপুরা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে।

জিএইচ/এসজি(পিটিআই, এবিপি আনন্দ)