1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গাজায় নিহত ৬৩০

২৩ জুলাই ২০১৪

ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৬৩০ জন নিহত হয়েছে৷ নিহতদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক৷ এদিকে হামাসের রকেট হামলার কারণে তেল আভিভ থেকে বিমান চলাচল বন্ধের পথে৷ যুদ্ধ বন্ধের জন্য কূটনৈতিক তৎপরতা চলছে৷

https://p.dw.com/p/1CgzI
Gaza Offensive Opfer 23.07.2014
ছবি: Reuters

গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে৷ ইসরায়েলের এক সেনা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, বুধবারের হামলায় অন্তত ৩০ জন হামাস সদস্য নিহত হয়েছে৷ ৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া হামলায় এ পর্যন্ত ২১০ জন হামাস সদস্য নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ ইসরায়েলের ক্ষয়ক্ষতিও বাড়ছে৷ হামাসের রকেট হামলা বন্ধ করার লক্ষ্যের কথা বলে শুরু করা হামলায় কমপক্ষে ২৯ জন সেনাসদস্যকে চিরতরে হারিয়েছে দেশটি৷ এক ফিলিস্তিনি স্নাইপারের গুলিতে বুধবারও প্রাণ হারায় ইসরায়েলি এক ট্যাংক অফিসার৷

এদিকে গাজা থেকে ছোড়া রকেট তেল আভিভ বিমানবন্দরের কাছের একটি বাড়িতে আঘাত হেনেছে৷ আরো হামলার আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশ ইসরায়েল থেকে এবং ইসরায়েলের দিকে তাদের সব ফ্লাইট বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে৷ ইসরায়েল সরকারও তেল আভিভের বেন গুরিয়ন বিমান বন্দরের ৮০টি ফ্লাইট সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে৷ তবে তেল আভিভের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রাখতে ইচ্ছুক দেশগুলোর প্রতি এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার অনুরোধও জানিয়েছে ইসরায়েল৷ মূলত আর্থিক ক্ষতি এড়াতেই এ অনুরোধ৷ চলমান পরিস্থিতিতে তেল আভিভে স্বাভাবিক বিমান চলাচল দৃশ্যত ঝুঁকিপূর্ণ৷

দেশের বাইরে নানা স্থানে আটকে পড়া ইসরায়েলি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়েও বেনইয়ামিন নেতানিয়ানহু সরকার উদ্বিগ্ন৷ তাই তেল আভিভ থেকে অন্যান্য বিমানের ফ্লাইট বন্ধ করার সময়েও ইসরায়েলি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে নেয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ৷ ইসরায়েলের এল আল এয়ারলাইন্স ফ্লাইট সংখ্যা বাড়িয়ে নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরানোয় সহায়তা করবে বলে সরকারের তরফ থেকে আশ্বাস দেয়া হয়েছে৷

তবে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে কোনো পক্ষই সাড়া দিচ্ছে না৷ মিশর সরকারের দেয়া এ প্রস্তাব মেনে নিয়ে শুরুতে ইসরায়েল সাময়িকভাবে যুদ্ধ বন্ধ রাখলেও হামাস তা মানতে অস্বীকৃতি জানায়৷ তারপরও শান্তিপুনস্থাপন প্রচেষ্টা অব্যাহত৷ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব কার্যকর করার উপায় খুঁজতে মিশর সফর করছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি৷ একই লক্ষ্য নিয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গিয়েছেন ইসরায়েলে৷ কিন্তু অবস্থা এখনো তথৈবচ৷ ইসরায়েলি হামলার তীব্রতা বেড়েই চলেছে৷ গাজায় মৃতের মিছিল দীর্ঘতর হচ্ছে প্রতিদিন৷ প্রতিদিন মিছিলে যোগ হচ্ছে নারী আর শিশুদের কচি, নিষ্পাপ মুখ৷ বুধবারও ইসরায়েলের গোলার আঘাতে প্রাণ হারিয়েছে গাজার দক্ষিণে আট বছর বয়সি এক শিশু৷

এসিবি/এসবি (ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য