সমালোচনায় ড. ইউনূস
২২ জুলাই ২০১৪গত ১৮ জুলাই ‘অ্যামেরিকান ফ্রেন্ডস সার্ভিস কমিটির' ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিদের প্রাণহানি অনতিবিলম্বে বন্ধে যুদ্ধবিরতি কার্যকরে আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি৷''
বিবৃতিতে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে৷ এতে লেখা হয়েছে, ‘‘এর আগেও গাজায় হামলা চালানো হয়েছে৷ এর আগেও যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়েছে৷ কিন্তু তারপরও ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব অব্যাহত রয়েছে৷
‘‘সতের লাখ ফিলিস্তিনি গাজায় ইসরায়েলের অবরোধের মধ্যে বসবাস করছে৷ ২০১২ সালে যুদ্ধবিরতির পর ইসরায়েলে শান্তি ফিরলেও গাজায় ইসরায়েলি হামলা থামেনি৷''
ফিলিস্তিনি এবং ইসরায়েলিদের মধ্যে শান্তি ফেরাতে তাই প্রকৃত উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নোবেলজয়ীরা৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে প্রকাশিত এই খোলা বিবৃতির নিচে অ্যামেরিকান ফ্রেন্ডস সার্ভিস কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যান ক্রেটিং, ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস ব্যুরোর' কো-প্রেসিডেন্ট ইন্গেবোর্গ ব্রাইনেস ও রাইনার ব্রাউন এবং বেটি উইলিয়ামস, জডি উইলিয়ামস, মাইরেড করিগান মাগুইর, তাওয়কোল কারমান এবং মুহাম্মদ ইউনূসের নাম রয়েছে৷
প্রসঙ্গত, শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস কেন গাজা নিয়ে কথা বলছে না? এই প্রশ্ন গত কয়েকদিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে৷ বিশেষ করে ফেসবুকে অনেকেই এই বিষয়ে সমালোচনা করেন৷
এদিকে, বাংলা ব্লগে গাজা নিয়ে নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন অসংখ্য ব্লগার৷ আমারব্লগে এই বিষয়ে একটি ব্লগ লিখেছেন আবু জাফর৷ শিরোনাম, ‘‘জ্বলছে ফিলিস্তিন৷ পুড়ছে গাজা৷ মরছে মুসলমান৷''
সামহয়্যারইন ব্লগে কাজী রায়হান লিখেছেন, ‘‘আহ! মানবতা তুমি চোখ বন্ধ করে থাকো৷ উলঙ্গ আমি লজ্জায় মরি৷'' এই ব্লগার লিখেছেন, ‘‘বরাবরের মতোই এবারো ইসরায়েল নিরাপত্তাই প্রধান কারণ হিসেবে দেখিয়েছে৷ এবং হামলায় একজন ৫ মাসের শিশু সহ কয়েকজন নিহত হয়েছে৷ বাহ! কি সুন্দর যুক্তি নিজেদের শান্তির জন্যে মানুষ হত্যা!!''
সংকলন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: জাহিদুল হক